কোন এক পড়ন্ত বিকেলে সূর্য
মেঘের সঙ্গে লুকোচুরি খেলছে,
পথহারা সন্ন্যাসীর মতো
একজন দুর্দান্ত মুক্তিযোদ্ধা ,
কৃষ্ণচূড়ার পাশে দাঁড়িয়ে
আমায় হাতছানি দিয়ে ডাকছে।
আমার হৃদয় তখন জাদুর কাঠির
স্পর্শে শিহরিত,পুলোকিত।
পুষ্পে পত্রে পল্লবে শোভিত বৃক্ষগুলো ,
ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে।
নব যৌবনার মত -
শ্যামল বাংলার সবুজ রঙের প্রভা
আমাকে আলিঙ্গনে জড়িয়ে
প্রগাঢ় তৃষ্ণায় বলেছিল ভালোবাসি,
কি এক উন্মাদ প্রেমানন্দে নিজেকে
সমর্পণ করে বলেছিলাম “আমিও”।
অতঃপর:
ঊর্ধ্বশ্বাসে ছুটে চলা, অপেক্ষার পালা।
অজস্র নির্ঘুম রাত্রি, কেবলই অপেক্ষা ,
নিজেকে মনে হয়েছিল বঞ্চিত-
অধিকারহারা!
কৃষ্ণচূড়া গাছটা আজও তাকিয়ে থাকে
এমনকি লাল মুরগিটাও-
ঘরে ফিরে প্রতিদিন নিয়ম করে।
ঘরে ফিরেনি একজন স্বপ্নদ্রষ্টা,
আমার অর্থহীন ভাললাগা।