যখন আমি আত্মার জগতে কোন জবাবদিহিতা ছাড়াই বসবাস করছিলাম,
তখন আমি না ছিলাম পুরুষ, না ছিলাম নারী।
গায়েবী আওয়াজ আমাকে জিজ্ঞাসিল, কি হতে চাও?
আমি পুরুষ হবার স্বাদ পোষণ করলাম।
পুরুষ হয়ে এলাম এই জগতে।
পাহাড় সমান দায় আর হোঁচট খাওয়া জীবন নিয়ে,
শুরু হয়েছিল আমার দুর্গম পথ চলা।
নারীর ভালোবাসা, প্রেম, ছলনার পাশাপাশি
ঝামেলা নিয়েই চলছিল এই ধুক ধুক করে জীবন চলা।
সবই পেলাম, পেলাম না শুধু শান্তি।
যে জীবন কামনা করে আসা, কোনটাই নাই এখানে।
ভুলেই গিয়েছি কি ছিল আমার একান্ত চাওয়া।
অপবাদ আর অভিযোগ নিয়েই চলছিল এই অমীমাংসিত খেলা।
তখন আমি নারী হয়ে জন্মাতে চাইলাম।
বিধাতা সুযোগ দিলেন।
এই জীবনে আছে অন্য এক স্বাদ,
আছে বেঁচে থেকেও না বাঁচার যন্ত্রণা।
নারী হয়ে আমি ভালোবাসা দেই, দেই আবেগ, অনুভূতি,
বিনিময়ে তাচ্ছিল্য আর অবজ্ঞা ছাড়া পাইনি কিছুই।
যত বেশি নিজেকে মমতার আর প্রেমের ভান্ডার বানিয়েছি,
তত বেশি পেয়েছি শুধুই ফেলে দেওয়া বাসনের মর্যাদা।
আমি আর মানুষ হয়ে জন্মাতে চাই না।
বিধাতা যদি আবার সুযোগ দেয়,
তবে এবার গাছ হয়ে জন্মাবো।
নিরব নিথর দাঁড়িয়ে শুধু দেখবো,
কোন অভিযোগ থাকবে না,
মানুষ হয়ে জন্মানোর অপরাধবোধ কাজ করবে না।
আমি আর মানুষ হয়ে জন্মাতে চাই না,
মানুষগুলো কেমন জানি।