জন্মের বহুকাল পরে এমন এক নুতুন বছরের মুখ দেখিলাম
যা শুধুই আঁধারের ভ্রূকুটি আর ভয়ের তুফানে ভাসাইলো
মন উতাল হইলো প্রিয় মানুষের কাছে যাইবার তাড়নায়
প্রাণ কাঁদিয়া উঠিল পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তার এই নির্মম ধ্বংসলীলায়
গৃহবন্দী মন, ব্যাথায় ভারাক্রান্ত হইতে থাকিলো দিনের পর দিন |
ধরিত্রী মাতা এক এক শতাব্দীতে এমন ই মহামারী দেখিয়াছে
শত দুঃখের পর নতুন করিয়া বুকে টানিয়া লইয়াছে পুনঃপুনঃ
অন্ধকারের উৎস হইতে যে নবউৎফুল্ল আলো উৎসারিত হয়
তেমনি ফুটুক নতুন আলো আমাদের সবার জীবনে,
হোক এই নির্মম ধ্বংস লীলার পরিসমাপ্তি ত্বরিত |
এই কঠিন ক্ষণ, চোখে চোখ রাখিয়া বুঝাইলো
সব জাতি, সব ধর্মের শ্রেয়, সেই অদ্বিতীয় ধর্ম, মানবধর্ম
এই সংকটময় মুহূর্তই হয়তো একত্রীত করিল সারা পৃথিবীকে নিমেষে |
আমরা সবাই সত্তর দেখিব এক ধ্বংসাত্তর রঙিন পৃথিবীর
যেখানে থাকিবেনা ভেদাভেদ, সম্পর্কের বেড়াজাল
সবাই মিলিত হইবো নতুন হইয়া, আঁনন্দের তুফানে ভাসিব |
আমরা মনুষ্য জাতি, এই পৃথিবীর মহাদানব ও তুচ্ছ করিয়াছি আমরা
আমাদের কান এতো সুক্ষ যে পৃথিবীর অন্য প্রান্তের কথা শুনিতে পাই
আমাদের চোখ এতো তীক্ষ্ণ যে সারা পৃথিবীর প্রতিচ্ছবি দেখিতে পাই এক পলকে
আমাদের ডানা এতো অবিরাম যে অন্তরীক্ষে প্রবেশ করিয়াছি
আমাদের বাহু এতো বলশালী যে প্রবল খরস্রোতা নদীর গতিপথ বদলাইয়া ফেলি নিমেষে
ইহদেবতার আশিসে আজ আরো বলশালী হইবো
মোকাবিলা করিব এই মারণ রোগের, ঘরে বসিয়াই
ফিরিয়া দেব আমাদের স্বপ্নের খেলাঘর
উপহার দেব উজ্জ্বল দিন, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে
সেই কঠিন শপথ আমাদের মনে মনে |