বিষয়হীন বিষয়
মৃন্ময়
বিষয় যে আজ খুঁজে না পাই
কি লিখি তাই ভাবি,
দাঁত দিয়ে নখ কেটেই গেলাম
খাচ্ছি শুধুই খাবি!
মেঘলা আকাশ, ভিজে বাতাস-
শীতল সমীরণ।
ভাব যে মনে দেয় না উঁকি,
কিসের উচাটন?
লিখবো বলেই যায় কি লেখা?
যতই ভাবি রবি।
জোর করে কি যায় গো হওয়া,
শিল্পী কিংবা কবি?
আরে,প্রতিভা চাই ভেতর থেকে,
ভগবানের দান।
কল্পলোকে উড়ি যতই,
থাকতে হবে জ্ঞান।
আমায় দেখুন, মোড়ল কেমন!
মানে না কেউ গাঁয়ের।
নিজের ঢাকটা পেটাই নিজেই,
বসলে আসর চায়ের।
শব্দ কিছু বাঁধি সুতোয়,
মিলিয়ে যা পাই আমি।
সুকুমারের শীতল ছায়ায়,
লিখতে গিয়েও ঘামি!
ছন্দ নিয়ে করতো খেলা
ছন্দের জাদুকর,
সরল সাদা ভাষায় ছড়া
সাজতো মনোহর।
কখন থেকে ভাবি বসে,
লিখবো ওরই মতো।
আবোল তাবোল নাই বা হলো,
আল ফাল নাই হতো!
কি আর করি গোবর মাথায়,
আসছিল রাগ কসে।
ভাবি মাথায়,কিছুই কি নাই!
ছাগ কি লাগে চাষে?
এমন করেই নানান কথা
ঘুরছিল সব মনের কানায়।
বিষয় ছাড়া পদ্য লেখা!
মাঝি বিনা খেয়া ভাসাই।
চমকে উঠি! হটাৎ যখন
দেখি আমি খাতার পরে,
ভাব না আসার আক্ষেপটাই
বিষয় হয়ে পাতায় ঝরে।