আমার দূর্গা

মৃন্ময়

আমার দূর্গা আজকে কেন,
অসুরের হাতে বন্দি?
মানুষ মুখোশে ঢেকে রাখে মুখ,
অসুরের অভিসন্ধি।
           বিকৃতকাম ,লালসা লোলুপ
           নিশাচর শয়তান!
           রিপুর নেশায় খুঁজছে শিকার,
           স্খলিত যে সম্মান।
                     জাতের বিচার করে না এরা,
                     কুঁড়ি কিংবা ফুল।
                      রাতের আঁধারে খুঁজছে সুযোগ,
                      হিংস্র দানব কুল!
পাশবিকতার ফন্দি বোনে,
জঠর হতেই এরা।
কোন কুক্ষনে জনম নিয়েছে,
মা ও যে দিশেহারা!
            বৃন্ত হতে ছিঁড়ছে কুঁড়ি,
            ছুঁড়ছে ধুলার পরে,
            অট্টহাস্যে কাঁপছে আঁধার,
            কান্নাই কেঁদে মরে।
                     নিশুতি রাতে শান্ত শহর,
                     সারমেয় খোঁজে আহার।
                     দূর্গা কোথাও ধর্ষিত আজ,
                     অসুর রিপুর শিকার।
বিবস্ত্র ওই দেহখানি নিয়ে
অমানবিক খেলা চলে,
সংজ্ঞাহীন দূর্গার দেহ-
লোভের চিতায় জ্বলে।
            ওরা চার জন, হিংস্র শ্বাপদ
            সভ্য সমাজে বাস?
            নির্জনে একা দূর্গাকে নিয়ে
            লিখলো সর্বনাশ!
                      শরীর জুড়ে রক্ত গঙ্গা,
                      পথের ধুলাও লাল।
                      ধিকি ধিকি প্রাণ করুন আর্তি,
                      ওষ্ঠ যে বেসামাল!
কার কাছে তুই আর্তি জানাস?
ওরে দূর্গা শোন....
বিবেক বিহীন পশুর সমুখ,
শেষের প্রহর গোন।
            বিসর্জনের বাদ্যি বাজে,
            বাঁচার সময় শেষ।
            আটের থাবায় শ্বাসরোধ তোর
            বিভীষিকার উন্মেষ।
                       যে দূর্গার দিনের শেষে,
                       ঘরে শোয়ার পালা,
                       নিথর দেহ চির শয্যায়,
                       পোড়া মাংসের দলা।
মোমবাতি আর মৌন মিছিল,
কাগজে বিচার চাই।
বিদ্বজনের বিদ্রোহী সুর,
সময়ে যায় মিলায়।
            আমার দূর্গা বাঁচতে যে চায়,
            সবার মতোন করে,
            দশ হাত তার গর্জে উঠুক
            অসুর বধের তরে।