সে যে গিয়াছে চলিয়া, আঁখির প্রান্ত দিয়া
ব্যথা আর বিষন্নতা তাই, বধিয়াছে আমার হিয়া।
বিবাগী মন, মোহে অকারণ
ভুলিয়াছিল তাহার রূপে ও বেহাগের সুরে,
কাঁপায়ে গিরিপথ, বিবর্ণ রথ
ক্ষয়ে ক্ষয়ে যায় ভরা রোদ্দুরে।
দিন যায় সুরের মূর্ছনায়, আঁধারে বাঁধিয়া ঘর
মনে জাগে সাধ-
এই সুরেসুরে, যদি ভোলে তাহার অন্তর ।।
যদি পাই দরশন, তাই সাজায়ে আবাসন
করিয়াছি অপেক্ষ কত-
কেবল যাতনাই হইয়াছে সার
সর্বত্র বিষাদে, বাড়িয়াছে বুকের ক্ষত।
আজও তাহার মোহ, কাটাইতে পারিনি তাই
বিষন্ন বদন, কপালে জুটিয়াছে ছাই।।
সবই তো গিয়াছে খোয়া
সবই মরীচিকাময়, যেন আধো ধোঁয়া ধোঁয়া।।
দিয়ে বাসনা বিসর্জন- ছাড়িয়া স্বজন
আঁধারে আলোক যেনো আমার এই দুর্ভাগ্য
নীরব নিস্তব্ধ কামনার হৃদয়ে
মানিয়াছি হার, শ্মশানের বৈরাগ্য।
দুঃখের এই সংসারে, পুষ্প সমাহারে,
আঁখির পাত্রে ডুবাইব তাহার হিয়া
বীরবেশে, যদি ফিরিয়া আসে
তাহার অপূর্ব প্রেম নিয়া ।