সকলে ফেলে গেলেও সে বসে থাকে নিশ্চুপ
ছাড়ে না সে নিদানে, যায়না ভুলে
জ্বালায়ে বাতি, পোড়ায়ে গন্ধধূপ
তারপর একদিন বক্ষে নেয় তুলে!!

চোখে না দেখি তারে, বসে থাকে অকাতরে
সে আমার মরণ, এমনিই তার ধরণ;
গভীর স্নেহসাতে-মিলায় আপনাতে
সে কি আমায় চিনে! জনমের মরণ!

সে কি জানে! জীবন কবে হবে অবসান?
জ্বলবে আগুনের শ্মশান;
নয়তো কবরের পরে, ফুটবে ফুল থরেথরে
ধেয়ে আসবে মৃত্যুর বাণ।

গভীর শোকে পোড়ায় অন্তপুর
জগতের সুরে বেজে ওঠে বিচ্ছেদের সুর
হিসেব মিলেনা সব-
অকস্মাৎ ফুরায়ে যায় জীবনের কলরব।

নিয়ে সকল দুঃখভার-
কোথায় লুকাবো আর!
কতভাবে ডাকি, হে মরণ, কোথায় রে তুই বল্ ?
কত বেদনায় শুকায় কমল, ফেলি অশ্রুজল ।

আমার নিষ্ঠুর তরী যখন খুঁজে পায় না কূল  
তখনো তো তার,  দেখা মেলা ভার
দৃষ্টির বাইরে তখনও সে অসার
বুঝি তার হিসেবের খেলা হয়না ভুল।

বিপুল বিষাদে-মন কেবলই কাঁদে
যখন জীবন বাঁধা পরে বৈরিতার ফাদে।
আঁধারের পর আঁধার গিলে খায়
সকলেই ছেড়ে যায়, বেলা অবেলায়।
তবুও সে থাকে নীরবে, থাকে নিরালোকে
তারপর একদিন জড়ায়ে বক্ষে,
নিয়ে যায় চোখের পলকে,
নরকে কী ঊর্ধ্বলোকে; সে আমার মরণ-
গভীর বেদনায় তারেই করি স্মরণ।