বৃষ্টি রানীর নিমন্ত্রণ
=====
মাটির ঘরে রইল নিমন্ত্রণ
একবার এসে দেখে যেও কবি
খাতার পরে উঠবে তবে হেসে
কলমিলতার ছোট্ট জীবন ছবি ।।
তোমায় সেদিন করবো যতন আমি
মাটির পরে দেবো আঁঁচল পেতে
দুপুর রোদে ঝরলে গায়ে ঘাম
আলতো করে মুছিয়ে দেবো হাতে ।।
দেখতে পাবে আমার ঘরে রোজ
কত বেদন নিত্য হাসায়-কাঁঁদায়
আগলে রাখি মাটির প্রদীপখানি
বৈরী বাতাস যখন বয়ে যায় ।।
কষ্ট আমার আর রবে না কিছু
একটু কাছে তোমায় যদি পাই
সোনার স্বপন লুকিয়ে আছে মনে
উড়িয়ে দেখো দুঃখে পোড়া ছাই ।।
বিলের জলে গা ভিজিয়ে আমি
শাপলা এনে করবো ঘরে জড়ো
ভেজা শাড়ী উড়বে যখন পাশে
একটু রসদ পেলেও পেতে পারো ।।
নৌকা যখন ভিড়বে বিলের পাড়ে
বাতাস এসে লাগবে আমার প্রাণে
পায়ের আওয়াজ শুনবো যখন দ্বারে
হৃদয় আমার উঠবে দুলে গানে ।।
তোমার আসার খবর যদি পাই
রইবো বসে বৃষ্টি মেখে গায়ে-
ধুয়ে দেবো ভেজা চুলের জলে
পথের ধূলো লাগে যদি পায়ে ।।
সবার কথা কইলে কত কবি
ইচ্ছে হলে লিখো আমার কথা
মাটির বেড়ায় দিও জলের ছবি
শুনে যেও লুকিয়ে রাখা ব্যথা ।।
মাটির ঘরে রইলো নিমন্ত্রণ
একবার এসে মুখটি দেখে যাও
সকল কথা নাইবা হলো জানা
কলমিলতার প্রণামটুকু নাও ।।
২৬ নভেম্বর, ২০১৬।