পাখির কাছে আমার কষ্টের গান শুনিয়েছিলাম;
ভেবেছিলাম সে আর কোনো গান গাইবে না-
সূর্য উঠবেনা, সকালও হবে না ;
কিন্তু না- সে এতটুকুও বিব্রত হয়না,
বরং সকালের গান গেয়ে-
সকলের ঘুম ভাঙ্গিয়ে
উড়ে চলে গেল দূরে ;
আমি একাই আমার কষ্ট নিয়ে
পড়ে রইলাম ঘরে ।।
আকাশের কাছে আমার কষ্টের কথা শুনিয়েছিলাম
ভেবেছিলাম নীল আঁচলে মেঘের ঢেউ জাগবে না
সাদা বক উড়বে না মেঘবালিকার সাথে
বৃষ্টিও ছুঁয়ে দেখবেনা চাতক পাখির ঠোঁট ;
কিন্তু না -
তার নীল কপোলে আমার কষ্টের
এতটুকু ছায়াও পড়ে না
ঝরঝর করে উঠোনে বৃষ্টি ঝরে
স্রোত খেলা করে চাতকের বুকে ;
আমি একাই নগ্ন কষ্ট নিয়ে
পড়ে রইলাম ঘরে ।।
একবার ফুলকে পড়িয়েছিলাম
আমার নীল কষ্টের মণিহার ;
ভেবেছিলাম লজ্জাবতীর মত
মাটিতে নুয়ে পড়বে তার সারা দেহ -
প্রজাপতিরা ফিরে যাবে ব্যর্থ আশায়
কিন্তু না -
আমার কষ্টের মনিহার কাঁটার মত
বেঁধে রাখে তার সমস্ত শরীরে ।
ফুলেরা হাসে, নেশা জাগে বনে ।
গন্ধে বিভোর হয়ে প্রজাপতিরা নাচে
আমি একাই নির্ঘুম রাত
কষ্ট নিয়ে পড়ে থাকি ঘরে .....
এখন ভাবছি-
এবার থেকে আমি মানুষ নই ;
পাখি কিংবা আকাশ হবো
কিংবা বাগানের ফুল হবো
আমার কষ্টের পাখিরা ঘুম ভাঙ্গানোর গান গাইবে;
তৃষিত মরুর বুকে নীল কষ্টের বৃষ্টি ঝরবে;
পাপড়ি মেলবে কাঁটায় বিঁধে থাকা রক্তাক্ত কষ্টেরা....
৬ নভেম্বর ২০১৬।