অথই জলরাশির অস্থির ঢেউয়ের দোলায়
দিনরাত্রি ছুটে চলে নাবিকের জলযান
দুরন্ত ফেনারাশি খেলা করে চারিপাশে ;
পাড়ের গান একসময় হারিয়ে যায় বহুদূর
ঝপাঝপ স্রোতের শব্দ ছুটে চলে তার পিছু
নাবিকের দৃষ্টি স্থির রয় ওপারের আশে।।।
দুরের আকাশটা মিলেছে তীর ছেড়ে বহুদূরে
দিকভ্রষ্ট না হয় সেই দিকে সতর্ক দৃষ্টি তার
সেইখানে তরী ফেলবে নোঙর মহাসম্ভারে ;
ঢেউয়ে ঢেউয়ে মিলে যায় পথহারানো ভয়
তীরের অপেক্ষায় না মানে মেঘের গর্জণ
ভুলে যায় ফেলে আসা মায়া টান সংসারে।।
দিনক্ষন না জানে কখন ফুরাবে সমুদ্র যাত্রা
আকাশের মেঘের মত ভেসে যায় তরী
স্রোতের সাথে বেঁধে নেয় দূরন্ত যৌবন ;
গভীর বিশ্বাসে চেয়ে থাকা দৃষ্টিসীমার বাইরে
দূরের আসমান বলে দেয় পাড়ের ঠিকানা
ঢেউয়ের সাথে মিশে থাকে হতাশা ক্রন্দন।।
মনে পড়ে বারবার আত্মিয় পরিজন সকল
মাটির গন্ধে মন ফিরেফিরে আসে তীরে
ভেজা দুইচোখ লোনা জলে ভরে ছলছল ;
ভরাসমুদ্র কেঁপে উঠে নাবিকের দীর্ঘশ্বাসে
চেয়ে রয় দূরে ফুরাবে কখন এই সমুদ্রপথ
কখন বাজবে কানে প্রাণের কোলাহল।।
২০মে, ২০১৭।
ঢাকা, বাংলাদেশ