যীশুর জন্মের মধ্য দিয়ে পূর্ণ হলো ভবিষ্যৎবাণী
তুমি হলে ভুবন মোহিনী- জগত জননী
বদনে সুমধুর স্মিত, চরণে পুষ্পের সমাহার
চির মহিমায় উজ্জীবিত, হলে অতি গুণাধার।

মাতা মেরী, তুমি ঐশ্ব প্রেমের এক মূর্ত প্রতীক
তব মহিমায় ছড়িয়ে আছে জ্যোতি দশদিক।
ঈশ্বর তোমার মাঝে নির্মান করেছেন অপার শক্তি
সারা জগত আজ পলে পলে তোমারে করে ভক্তি।

তুমি নিষ্কলঙ্ক রমনী-
বহুবিধ গুণে গুণান্বিত তুমি স্বর্গের জননী।
ঈশ্বরের প্রতি দৃঢ় ছিল তোমার আনুগত্য
তোমার কোলে ঘটেছিলো বিষ্ময়, ছিল আলোয় পরিব্যাপ্ত।
দারিদ্রের মহা আরশে, তোমার গর্ভ চিড়ে,
সুনিপুন চৌকষে, শিশু যীশু বেড়ে ওঠে ধীরে ধীরে।
যীশুর মত তুমিও ছিলে সবাকার,  সকল পূণ্যের আধার
ঈশ্বরের অনুগ্রহের প্রতি ছিলে তুমি উদার
পবিত্র মন্দিরে নিজ পুত্ররে দিলে উপহার।
তুমি হলে অপরাজিতা, হলে সকল শিষ্যের মাতা।
দেখেছে জগত অবিরত-করেছ আশ্চর্য কর্ম কতশত।
পুত্রের মহত্ত্ব তোমারেও করেছে মহান
প্রসিদ্ধ হয়েছে পৃথিবীর জমিন-আসমান।

ভবিষ্যৎবাণী আবারও হয় পূর্ণ -
শত্রুরা নিষ্ঠুর দ্রোহে, মানবতা করে চূর্ণ।
ত্রাণদাতা যীশুর করুণ মৃত্যু ঘটে তোমার সকাশে
পৃথিবীও আঁধারে কম্পিত হয়, কাঁদে শোকাচ্ছ্বাসে।
মুক্তির পথ রচিত হয় কালভেরীর রক্তাক্ত প্রান্তরে
এত দুঃখ ভোগেও থেকেছ অবিচল, কঠিন অন্তরে।


কত নারীর জন্ম হয় জগত পরে-
সকলের মঝে তুমি প্রতিভাবতী, হলে সদাপী
যেনো স্বর্গের পরিজাত, নন্দন বহরে ।
তোমার চরণ বিনা মানুষের আর গতি নাই-
তোমার স্মরণ লয়ে পথের দিশা খুঁজে পাই।
তোমার সুকুমল কুমারী-হৃদয়
জগতের  কল্যাণে থাকো ব্যাকুল-
যেনো স্বর্গ কাননে তুমি প্রস্ফুটিত ফুল।
মানুষের ধ্যান ও সাধনায়, তুমি ভক্তিমতি!
মাতা মেরী!
নিরাশার অন্ধকারে তুমি পবিত্র জ্যোতিষ্মতী।