হয়তো একদিন ইতিহাস পড়া হবে এইভাবে-
"তখন চারিদিকে ছিলো কবির নীরব আর্তনাদ!
ভীষণভাবে ক্ষতে, রক্তে প্লাবিত হয়ে যাওয়া দেশ
মৃত্যু আর ধ্বংসের আর্তচিৎকারে ভরে ছিলো
ভীষণ লজ্জা, কুণ্ঠা, ক্ষোভ আর ভর্ৎসনা নিয়ে
ওরা ছিলো এতটা মনুষ্যত্বহীন! পাষণ্ড আর বর্বর।
কী দোষণীয় রক্তই না বইছিলো ওদের শরীরে
কোন শকুন যেনো খামছে ধরেছিলো চেতনা
বিকৃত করেছিলো ওদের মগজ
পৈশাচিক উন্মাদে নেচেছিলো নারকীয় যজ্ঞে
বীভৎস উন্মাদনায় মেতে ওঠা আমাদের সন্তানেরা
যেনো জঠরের শিশুটিও কেঁদে-কেঁপে উঠেছিল ।
ধর্মের লেবাসধারী মানুষের পুণ্যহীন-অধর্ম আচরণে
কলঙ্কিত হয়েছিল আমাদের পুণ্যভূমি।”
হয়তো একদিন ইতিহাস পড়া হবে এইভাবেও-
“কতটা স্বাধীনতা রচিত হয়েছি এই বাংলায়
কিছু নৈষ্ঠিক আর পুণ্যবান মানুষের প্রভাবে!!’’
আবার ফিরে এসেছি কম্পিত কবিতায় –
আমি তো মরেই গিয়েছিলাম-
কতিপয় মানুষের প্রতি ঘৃণায় আর লজ্জায়।