আজও নিঃসঙ্গতার সুর হয়ে বাজে
পুরনো ব্যথা, ব্যকুল আকুতি,
রাগে-অনুরাগে;
সম্মুখে হারায়ে স্বজন
কতভাবেই না রক্তাক্ত হয়েছে আত্মকথন
অসুখে, নির্ঘুম-বিবাগে।
জড়াজীর্ণ কুঠরিতে কেটেছে কালরাতি
নিভেছে পূজার ঘরে অর্ঘের সব বাতি।
অমৃতের পথ যতই করেছি সন্ধান
হয়েছি রিক্ত, আর্তরোদনে মুহ্যমান।
নেমেছে নিষ্ঠুর নীরবতা বিপুল তরঙ্গে
কেউ বলেনি কথা, দাঁড়ায়নি এসে সঙ্গে ।।
দিগন্তের শেষে ডুবে যায় রবি
ম্লান করে সব জগতের ছবি।
আঁধার প্লাবনে ভেসে যায় তরী
নিভেনাতো কলঙ্ক কলসে জল ভরি।
বাঁচার আশায়- মরি বড়ই তৃষ্ণায়
খড়কুটাসম কবিতায় খুঁজি সুখ
সারেনা, এযে আমার ভীষণ অসুখ!
কতই না ছিলো আয়োজন
ব্যর্থ মরমে, জীবন হলো বিষর্জন।
জানিনা আর কত দুঃখ রয়েছে বাকী
এইবার মুদিতে চাই আঁখি।
সকল দুঃখ যাক মরে-
ঘুমের ঘরে।
তারপর জ্বলে উঠুক শ্মশান
বাড়ুক উত্তাপ-ভুলি পরিতাপ
আর কোনোদিন না হোক নির্বাণ।।