কপালের টিপ, চোখের কাজল
ঠোঁটের রঙ; সবই তো ছিলো
বেশ পরিপাটি, ভালোই ছিলো!
তারপর-
রোগে আর মৃত্যুর শোকে
অগাধ জল ঝরলো দুই চোখে-
নিমেষেই মুছে গেল সব
থেমে গেল জীবনের কলরব!

যে বন ছিলো পুষ্পগন্ধে ভরপুর
কবিতার সমারোহে- আনন্দ-সংগীতে
ভরা ছিলো রাত্রি-দুপুর।
আজ কেবল নীরবতা-
বাঁচি নানা কৌশলে, ছলে বলে
বাড়ে ব্যাকুলতা।

বড়ই দুর্বহ এই জীবন-
কেবল অপেক্ষা; এসো হে মরণ।
জড়ায়ে ধরো, পেতে আঁচল
না দেখুক কেউ চোখের জল
বিষন্নতা না জানুক কোনো লোক
কেবল নিজেরে ক্ষয়ে ক্ষয়ে ঢাকি গুরুশোক।