আমার একদিন অসুখ হবে! ভীষণ অসুখ!
সারা শরীর পুড়ে যাবে জ্বরে, কাঁপবে থরথরে-
থার্মোমিটার হাতে, নিয়ে কম্পিত মুখ
সে ঠায় বসে থাকবে শিয়রে!
ক্ষণে ক্ষণে কপালে ছোঁয়াবে হাত
মনে হবে-
মৃত্যুরে স্তম্ভিত করে, এসেছে প্রাণনাথ।

দেখবে জ্বরের মাত্রা কমে নাকি বাড়ে
করবে সকল প্রয়াস, তারে লড্ঘিবারে।।
ভীষণ জ্বরের ঘোরেও আমার
বইবে সুখের অশ্রুধার,
পুলকে দুলে উঠবে সদা বাঞ্ছিত মন
যদি না সারে এ অসুখ, থাকি অচেতন।
রাত ভর সে জেগে জেগে দিবে পাহারা
ভুলে যাবে, যত কিছু আছে, আমি ছাড়া ।

যদি সহসা বাঁধেই ভীষণ অসুখ-
দেহে ক্লান্তি করে ভর, শুকিয়ে যায় মুখ
সে কি তবে বুকে তুলে নিবে স্নেহভরে?
নাকি ফেলেই রাখবে ঘরে, অনাদরে?
যদি এই অসুখেও না ফেরে তার মন
এত কৌশল, কেনই বা করি অকারণ!

একদিন অসুখ হোক আমার! ভীষণ অসুখ!
ব্যথায় ব্যথায় ভরে যাক বুক।
যদি সে না করে যতন- না পোড়ায় তার মন
ফেলে রাখে ঘরে, যদি থাকি অচেতন
তবে ভেঙ্গে যাক আগল, না থাকি সংসারে
মৃত্যু আসুক আনন্দ ঝংকারে।
অমৃত মেনে, মৃত্যুর সাথে করি আলিঙ্গণ
এই শোক আমারই থাক-
ভীষণ অসুখের মতন ।।