দস্যিমেয়ে
মিনু গরেট্টী কোড়াইয়া (বৃষ্টিরানী)
============
ও মেয়ে তোর এমন দশা করলো কারা বল্ ?
কে ঝরালো দুই চোখেতে শ্রাবন মেঘের ঢল্ !!
যাবার বেলায় বেশ তো ছিলি আলতা রাঙ্গা পায়ে –
কিসের আঁচড় লাগলো মুখে রক্ত ঝরলো গায়ে !!
কোন পাড়াতে গিয়েছিলি ভাঙ্গতে কাঁটার বেড়া –
ধিঙ্গিপনা করতে গিয়ে করলি আঁচল ছেঁড়া !!
কোন ভাবনায় থেমে গেল হাজার কথার মেলা -
বিনা মেঘে বাজ পড়েছে ভাঙলো কানের তালা !!
চুপ কথারা আজকে তোরে কিসে করলো বশ্ –
বিলিয়ে এলি কোন ঘরেতে সপ্ত সুরের রস ।।
রাতের চেয়েও বেজায় কালো মুখটি কেন ভার -
কিসের ভয়ে একলা ঘরে বন্ধ করলি দ্বার !!
ও মেয়ে তুই চুপটি থেকে করিসনে আর ছল-
রাঙ্গা হাতের সোনার কাঁকন কে ভেঙ্গেছে বল !!
বললো মেয়ে, দিন দুপুরে একলা পথে পেয়ে -
মানুষরূপী কুকুরগুলো কামড়ে দিলো পায়ে ।।
কুকুর শুধু কামড়ে যাবে এত সহজ নয় –
কাল নাগিনীর বিষ ঢেলেছি পাইনি কোন ভয় ।।
রক্ত দেয়া, রক্ত নেয়া জমলো খেলা বেশ –
পথের কুকুর পথের ধারেই দম ফুরিয়ে শেষ ।।
তোমরা সবাই ভাবছো একি, হলো সর্বনাশ –
যা করেছি বেশ করেছি মিটলো মনের আশ ।।
আগের মতই এই মেয়েটি নামবে একলা পথে -
আলতা পায়ে, কাজল চোখে রেসমী চুড়ি হাতে ।।
দস্যি বলো, তবু লড়াই লড়তে আমি চাই –
দস্যিপনা থামলে তখন বাঁচার উপায় নাই ।।
২৫ জানুয়ারি ২০১৬