বড়দিন; একটি আলোর বার্তা, ছড়ালো ভুবনময়
তাপিত জনে জাগাও আজি, নেই আর কোন ভয় ।।
আকাশের তারা রইলো জেগে, ঘুচাতে অন্ধকার
ধরায় মুক্তি মিলবে সবার, লঙ্ঘিবে পাপের ভার।।
দীনহীন বেশে ঈশ্বর তনয়, ছেড়েছে স্বর্গধাম
জগত পরে সকলের কণ্ঠে, বাজলো তারই নাম ।।
তিনিই নিবেন তুলে যত ক্ষুদ্রতা-দুঃখভার
এমনই ভেবে সুখের তরে, ভরলো আঁখিধার ।।
বড়দিন এলো নতুন চেতনায়, প্রকাশ হলো মহিমা
জন্মিল ত্রাতা; কুমারী নারী হলো স্বর্গীয় মা।
উদার সে যে পরম ঈশ্বর, নিজ পুত্রকে হেসে
মাতা মেরীর কোলে দিলেন, মনুষকে ভালোবেসে।।
বিশ্ব মানব হাসছে-খেলছে, জননীর ক্রোড় পরে
মহাসমারোহে স্বর্গের ফুল, মাটির ধরায় ঝরে ।।
নিজেরে লয়ে শঙ্কিত যারা, মনে আছে লাজ-ভয়
তাদের জন্য পরম ঈশ্বর, পাঠালেন প্রেমময় ।।
তাঁর জন্মের বারতা পেয়ে, সৌরভে দিকদশ
শুভ্রবেশে গোয়াল ঘরে, ছড়ালো তাঁর যশঃ।।
জগতের সাথে গাই মিলে আজ, বন্দনা-সমাচার
এসো, শান্তি-সাম্যের কথায়, বাঁধি মধুর তার ।।
তাঁর দয়া যে অগাধ-অসীম, বিশ্বেরও বিস্ময়
মহাগৌরবে সকলেই বলি, জয় ঈশ্বরের জয় ।।
ধূপ-গন্ধে ভরলো গোয়াল, আকাশে ফুটলো ঝাড়
ধরণীর পরে ছড়ালো আলো, খুলল স্বর্গদ্বার।।
বড়দিন এলো আশিস লয়ে, ভুলি বিষাদ যত
তিনি প্রেমময়-ঈশ্বর তনয়, তাঁর তরে নই নত
সকলের জন্য মঙ্গল বয়ে, এসেছে যেই শিশু
বড়দিন, শুভ তাঁরই জন্য, প্রণমি হে যীশু।।
রচনাকাল : ১০ নভেম্বর, ২০২৩