আমি প্রভুর দাসী; কুমারী মারীয়া
আমার একান্ত বন্ধন পরম ঈশ্বরের সাথে
উল্লসিত মন-প্রাণ তাঁহার ধ্যানে;
তিনি যাহা চান, তাহাই যেনো ঘটে
আমি প্রভুর দাসী; আজ্ঞাবহ তাঁহার জ্ঞানে।
তাঁহার পরেই আমার সমস্ত প্রাণ নিবেদিত
যতনে লালন করি, করুণার ঐশ্ববাণী
তাঁহার অনুগ্রহে আমি আশ্বাদিত হই
পুলকিত রই, ঘুচিয়া যায় সকল গ্লানি ।।
তাঁহার হস্ত শিরে ধরিয়া লই পরম যতনে
অকাতরে স্নাত হই করুণার সিন্ধুজলে
আমার চিত্ত রঞ্জিত হয় পুলকে পুলকে
আশির্বাদে প্রীত হই প্রতি পলে পলে।
আমি যে অতি নগণ্য! তবুও
যীশুর মাতা রূপে করিয়াছে মহিয়ান
এ ভাঙ্গা অঞ্চলে-
কোথায় তাঁহারে গাঁথিয়া দিবো স্থান!
ঐশ্ববাণী আমার অন্তরে বাড়ায় শক্তি
দিব্যরূপে তাঁহারে পাই গভীর মননে
আমার আত্মা ঋদ্ধ ও জীবিত হয়ে ওঠে
ব্যাপ্ত রই তাঁহার স্তুতি অবগাহনে।
আমি প্রভুর দাসী; কুমারী মারীয়া
জানি না কী দিয়া তোষিব তাহারে
যীশুর মাতারূপে জ্ঞাত হইয়াছি জগতে,
স্নাত করিয়াছেন তিনি আমায় বিপুল সম্ভারে।
আমারে গড়িয়াছেন প্রভু নিজ হাতে
দেখিয়াছি তাহার চোখে বিশ্বলোক
দীনদাসীর মনের বাসনা এই-
আমার পরে তাঁহার আজ্ঞা আরও বর্ষিত হোক।।