বর্ষাকালে, আষাঢ়ে-শ্রাবণে
রিমঝিম সুরেলা বৃষ্টির দিনে
চারিদিকে পানিতে টলমল
যখন তখন আকাশ ফেটে পড়ে পানিতে, আঁখি ছলছল।
মা বলত কত কিছু
মুড়ি-কড়ই, শীমের বীচি ভাজা হত উনুনে, পানিতে ডুবে যেত উঁচু-নীচু।
ভাই-বোন সকলে মিলে খেতাম মজা করে
চলে যেতাম উত্তর বিল, দক্ষিণ বিল, নৌকা-ভেলায় চড়ে।
দীঘির পাড়ে বড় আমগাছটায় চটুল ভঙ্গিতে উঠে, কেউ বা দিত লাফ
সবাই উৎসাহ, অবাক বিস্ময়, ওরে বাপ রে বাপ!
পিতাকে দেখেছি প্রত্যহ সকাল বেলা রোজগারের জন্য চলে যেতে
আগ্রহ ভরে থাকতাম, চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে।
এ বাড়ি, ও বাড়ির কেউ কেউ থাকত তখন পাশে
কথার চ্ছলে কখনো বা জোরে উঠত হেসে।
দাদার বাড়ীর উঠানের পেয়ারা গাছে উঠতে বড়ই সাধ
গাছে উঠে পেয়ারা খেতাম নেইকো সকাল-সাঁঝ।
এ গাছ থেকে ও গাছে যেতাম কাঠবিড়ালীর মতো
রাতে বানরের পাখা ঝাপটানি বুক দুর” দুর” করতো।
মায়ের চিৎকার, খোকা আর বেশি উঠিস না উপরে
ভয়ে কাঁপে মন তাই দিত সাবধান করে।
কিশোর চঞ্চল ছিল মন
মানত না মায়ের কোন বারণ,
বৃষ্টি হলে গাছের ডাল পিচ্ছিল হয়ে যেত
নিচে যারা থাকে, কেউ না কেউ মায়ের বকুনী খেত।
তাই তো এমন বর্ষার দিনে
আজও সে-ই অম্লান স্মৃতি হৃদয়ের গহীনে।