মনের অভ্যন্তরভাগে অগোচরে কথামালার স্তুপ
বলা হলো না এই সংক্ষিপ্ত সময়ে, কালের পরিক্রমায় এগিয়ে
যায় জীবন। এই জীবন-পদ্ধতি কোন ব্যাকরণের অধীনস্ত নয়।
কিসের নিয়ম-নীতি? যাচ্ছেতাই ব্যবস্থা, তবুও নিয়ম রচিত হয়
মানুষকে আষ্ঠে-পৃষ্ঠে বাঁধার গোপন অভিপ্রায়ে। কেউ বুঝে কেউ বুঝে না,
ফাঁদে না আটকানো পর্যন্ত।
সাদা চামড়ার লোকগুলো এসেছিলো ভদ্রতার মুখোশ পড়ে
সময়ের নিষ্ঠুর তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে অবশেষে
থলের বিড়াল বেরিয়ে পড়েছিলো। কিন্তু ততদিনে যা কবার হয়ে গেছে,
নতুন শৃঙ্খলে আবদ্ধ করে হাওয়া হয়ে যায় নি
কালো থাবা বিস্তৃত সদা কুনজর বহমান।
আসল কথা এখানো বলা হয়নি। রৌদ্র-ছায়ার খেলায় সখ্যতা
থাকলেও জাতি-ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সখ্যতা নেই।
দলাদলিতেরত থেকে ভ্রাতৃৃত্ববোধ বিলীন হওয়ার উপক্রম
হিং¯্রতা মনুষ্যত্বকে গ্রাস করছে। বিষধর প্রাণিদের তেজ এখন
মানবতন্ত্রীতে বাসা বেঁধেছে যেন। সাদা চামড়াওয়ালারা যা বলে
ফান্ডামেন্টালিস্ট, কমিউনাল, ফ্যানাটিক, টেরোরিস্ট, আরো কত কি...
বক্তৃতা-বিবৃতি-সন্মেলনে মুখে খই ফুটে।
এই অশুভচক্র থেকে বেরিয়ে এসে
বুক উঁচু করে চলার বলার সময় কি আসন্ন?
মিলে মিশে স্বাধীনতার অপার সুখ নিয়ে
দৃঢ় বন্ধনে ইস্পাত কঠিন শপথে বলিয়ান হয়ে
মসৃণ চলার পথকে অন্ধকার থেকে আলোয় নিয়ে
ভরে তুলতে কারোতো দ্বিমত থাকার কথা নয়,
তবে গোলামির মানসিকতা থাকলে ভিন্ন কথা।