রাত জেগে জেগে একটা কিছু লেখার, পড়ার অভ্যাসটা
আরো পাকাপোক্ত হতে চলেছে।
অনেকের কাছে নিদ্রার চাইতে আর প্রিয় কিছু নেই
আমি কিন্তু কোন্ দলে পড়ি জানি না
তবে দু’আঁখিতে একবার নিদ্রা চলে আসলে
আর কোন খবর থাকে না!
হিসাব করে দেখলাম মানুষের এক জীবনের মধ্যে
এক-তৃতীয়াংশ নিদ্রায় চলে যায়
ভাবি জীবনকে অনেকেই খেলাঘর ভেবে
বেপরোয়া হয়ে অনায়াসে কাটিয়ে দেয়
একটিবারও ভাবেনা কোথা থেকে এসেছি
কোথায় চলে যাব?
কার কাছে যাব? কি নিয়ে যাব?
প্রত্যুষে রাত পোহালেই স্রষ্টার কাছে সমর্পিত হতে
কি যে এক দূর্ণিবার আকর্ষণ তৈরি হয়,
মালিকের শাহী দরবারে সেজদায় লুটিয়ে পড়ে বলি
আমি গুনাহগার, আমি পাপী-তাপী
আমার তওবা কবুল করো হে প্রভু আমায় ক্ষমা করো।
প্রার্থনা শেষে নদীর তীর ঘেঁষে এগিয়ে চলি
বন-বনানী, পাহাড়-পর্বত পেরিয়ে, যে গন্তব্য জানা নেই।
দিগন্তে রাঙ্গা রবি, প্রকৃতির কী অপরূপ সৌন্দর্য!
নীল আকাশ, আকাশে রবির কিরণ, ক্ষেতে শিরশির করে বইছে হাওয়া
এত সুন্দর অন্তমিল, তাঁর এই ভুবনে
আমার আল্লাহ কত মেহেরবান, তাঁর এই নগণ্য গোলামকে
সৃষ্টি কুলের সেরা মহামানবের অনুসারী হিসাবে বাছাই করেছেন।
তাঁর কথা মনে পড়লে সৃষ্টির প্রতি,
সুন্দরের প্রতি তাকালে আপন-আপনি মস্তকখানা অবনত হয়ে যায়।