আমি ভেবে ভেবে আশ্চর্য হই!
মাত্র একফোঁটা পানি থেকে যাকে সৃজন করা হয়েছে
যৎসামান্য মাটি দ্বারা যার দেহসৌষ্ঠব গঠিত হয়েছে
যে মাটির অভ্যন্তরে সে আবার চিরশায়িত হবে
আবার উত্থিত হয়ে প্রতিপালকের কাছে ফিরে যেতে হবে
তার এতো গর্ব করার কি থাকতে পারে?
আমি ভেবে ভেবে আশ্চর্য হই!
একটা নির্দিষ্টকাল মেয়াদের জন্য যাকে
এই পৃথিবীতে প্রেরণ করা হয়েছে, তার কৃতকর্মের জন্য
সে বিপদগামি হয়ে জাহান্নামে যাবে বলে-
রাব্বুল আলামিনের পক্ষ থেকে যুগে যুগে
সরল-সঠিক পথ দেখাতে অসংখ্য বার্তাবাহক পাঠানো হয়েছিলো
সে কিভাবে তার মালিককে ভুলে যেতে পারে?
আমি ভেবে ভেবে আশ্চর্য হই!
এই সুন্দর আলো-বাতাস, গ্রহ-নক্ষত্র, পাহাড়-পর্বতরাজি
দিবা-রাত্রি, চন্দ্র-সূর্য, যার হুকুমে চলে
সে কিভাবে তাঁর আইনকে অস্বীকার করে
নাস্তিক-মুরতাদ* আর অস্বীকারকারি হতে পারে?
আমি ভেবে ভেবে আশ্চর্য হই!
নির্দিষ্ট মেয়াদকাল ক্রমান্বয়ে আমরা এগিয়ে আসছি
এই রঙিন পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে
ঘর-সংসার, আত্মীয়-পরিজন, স্ত্রী-পুত্র-সন্তান
সবাইকে ত্যাগ করে চলে যেতে হবে।
আফসোস! হায়াতের বাজেট দিন দিন কমে আসছে
কারো কর্ণপাত নেই সেদিকে কারো
এই পৃথিবীতে একে একে কত আশ্চর্য জিনিস আবিষ্কৃত হচ্ছে
মিশরের মমি, ব্যাবিলনের ঝুলন্ত উদ্যান, তাজমহল, কম্পিউটার
বলুন তো, মানুষের জীবন থেকে একটি দিন চলে যাওয়া মানে
মৃত্যুর দিকে ক্রমশ এগিয়ে যাওয়া, মৃত্যুকে আলিঙ্গন করা
এর চেয়ে আশ্চর্যের ও চিরন্তন সত্যের বিষয় আর কি হতে পারে!
*[কাউকে হেয় বা মতামতকে অশ্রদ্ধা করার জন্য নয়]