সেদিন বাংলা সাহিত্যের রাজধানী ঢাকায়
কবিতা পাঠের আসর বসেছিল।
কাব্যপণ্ডিতগণ উপস্থিত কবিতার সম্ভার নিয়ে
সবার মুখে অনাবিল হাসি রাশি রাশি
দ্বিধাহীন উচ্ছ্বাস,
সবাই একত্রিত, আসর আজি জমবে
প্রগাঢ় বিশ্বাস কিন্তু তখনি নাটকীয় ঢং বাকি
বাধ ভাঙ্গা আনন্দ
কাব্যস্ফুরণে জ্যোর্তিময়তা, আবেগ বিরামহীন উল্লাস
বুলি আওড়ায় অসতর্ক বিলাপ।
সাম্প্রদায়িকতা, ভীষণ প্রতিক্রিয়াশীল, বেলাজ, গোঁড়া
মুখ চাওয়া-চাওয়ি পরস্পরের।
সৃজনশীল-নিরপেক্ষ-প্রতিপক্ষ,
কার বিরুদ্ধে বিষোদগার?
না না না, আজ কবিতা-শিল্প-সাহিত্যে অনুপ্রবেশ করেছে
মুহম্মদ বিন কাসিমের অশ্বধ্বনির পালা,
বখতিয়ারের সাহসী ঘোড়ার বন্দনা
সর্বত্রই প্রগতিশীলরা ত্রস্তমান!
প্রবীণ কবি নির্বাক অন্তহীন ভাবনা
রাজনীতির ময়দানের কথা কবিতার আসরে
কবিকে চিন্তিত দেখে
অলক্ষ্যে যেন কে বিদ্রুপ করে উঠে?
বলে এই সংকীর্ণতা, দলাদলি থেকে
কবি ও কবিতাকে দূরত্বে রেখো,
কবির সমাজ, কাব্যের পরিসর প্রেক্ষাপট তফাৎ
কবির অমোঘ লক্ষ্য জাগ্রত সত্য ও মানবতাবোধ।