কেউ অবিরতভাবে অনৈতিক-অন্যায় কোন সিদ্ধান্ত
কারো উপরে চাপিয়ে দেবে, চিরকাল এমনটি হতে পারে না।
বিনা কারণে অযাচিত হস্তক্ষেপ, স্বাধীন চেতনা, মনন,
যারা মুক্ত চিন্তার ধারক-বাহক, তারা কারো গোলামী বরদাস্ত করতে পারে না।
এই পৃথিবীতে কোথাও বল প্রয়োগে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে
পারবে না কেউ একথা হলফ করে বলতে।
দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়েছে অশান্তির আগুন
বুশ-ব্লেয়ার-শ্যারণ দানবত্রয়, অশুভ অক্ষশক্তি
একবিংশ শতাব্দীতে পৃথিবী নামক সুশীতল-শান্ত গ্রহটিকে
মানব বসতির অনুপযোগী করে তুলছে প্রতিনিয়ত
শয়তানের এই ধ্বংসযজ্ঞে কারো কোন মাথা ব্যথা নেই যেন
এককালের শ্রেষ্ঠ তাওহীদবাদীদের বেলায় মানবাধিকারের বালাই নেই!
ইচ্ছাকৃত সৃষ্ট সমস্যার সমাধান সহজে হয় না
তারপরও লোকেরা চালিয়ে যায়, খোলামেলা আলোচনা, যুক্তি-তর্ক
পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ, অন্যের অধিকার সমভাবে স্বীকৃতির লক্ষ্যে
অবিচল আস্থার প্রতিদান।
হীনমন্যতার ফসল এই যুদ্ধ-বিগ্রহ, আগ্রাসন
কুৎসিত লালসার লকলকে জিহ্বা
জিঘাংসার মনোবৃত্তি, জটিল সমীকরণ-তথাকথিত অপারেশন ইনফিনিট জাস্টিস!
কারো কথা মানিনা, আমার কথা সবাইকে মানতে হবে
মেনে চলতে বাধ্য করা হবে!
সবই আমার, সব কিছু আমার করতে হবে
সবই আমি করেছি, সবাই আমার ক্রীতদাস মাত্র
যেন মানবতার অসহায় আত্মসমর্পণ।
তবে কেউ সর্বদা অন্যায় সিদ্ধান্তকে চাপিয়ে দেবে
আর বিনা বাক্য ব্যয়ে মেনে নেবে
এই ধারণার ক্রমান্বয়ে অবসান হতে
আর কতদিন অপেক্ষা করতে হবে কে জানে?
দিকে দিকে একটি সবুজ পতাকা কারা যেন
উড্ডীন করার প্রাণান্তকর প্রচেষ্টারত। সেই পতাকা
সাম্রাজ্যবাদী শকুনির থাবায় মাঝে মাঝে রক্তাক্ত হচ্ছে।
শত আঘাতেও ওরা দমবার পাত্র নয়, কেবল মনে হচ্ছে
জাতির আশার প্রদীপ জ্বলে উঠছে
আর সমগ্র নিপীড়িত বিশ্বমানবতা মুক্তির প্রহর গুণছে।