ঊনিশশো চুয়াত্তর সালের শেষ প্রান্তে
ভীরু চোখে, ক্ষীণস্বর তুলে ধরিত্রিতে আসা,
হাঁটি হাঁটি পা পা করে গন্তব্যের দিকে পথচলা।
এ ধরণীর নবীনতম সদস্য হিসেবে
এই তো সেদিন মাত্র!

পাঠ গ্রহণের শেষ অধ্যায় চুকিয়ে
সে-ই ঐতিহাসিক আন্দরকিল্লা থেকে কলেজ রোড
বৈষয়িক স্বার্থ নিমিত্তে নব উদ্যেমে জীবনযুদ্ধে শামিল হওয়া
এখনো দিব্যি বহাল তবিয়তে নবাবজাদার ন্যায়
তাও এই তো সেদিন মাত্র!

নাগরিক ব্যস্ততায়, সীমাহীন গ্যাড়াকলে নিয়ত যাপন
‘ক্লিন সিটি, গ্রিণ সিটি’ রূপরেখায়
মাঝে মাঝে বারুদের গন্ধ পাওয়া যায়
বুলেট বোমায় কেঁপে উঠে, পেশি শক্তির নগ্নোল্লাসে
নারী লোলুপতা, যৌবন জোয়ারে তারুণ্যের ক্ষয়িষ্ণুশক্তি
সয়ে যাচ্ছি সামাজিক অবক্ষয়ের মাঝেও।
বাণিজ্য-বসতিতে চলে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা!
পেরেশানি বয়ে চলা ঘাত-প্রতিঘাত বেয়ে।

আছি টিকে কোন মতে, না থাকারই মতো
নুুয়ে পড়া জীবন যুদ্ধে হার না মানলেও
বীরু কাপুরুষের ন্যায় অবনত শির যেন।
কলেজ রোড একটি সংগ্রামী নাম, ইতিহাস
না পরিপূর্ণ ব্যর্থতার বা সফলতার।
একদল তারুণ্যের প্রচণ্ড ভালোবাসা ও উচ্ছ্বাসে বেঁচে থাকা
যে ভালবাসার অটুট থাকুক শেষ নি:শ্বাস পর্যন্ত।