যখন স্কুলে যেতাম সেই মেঠো পথ মাড়িয়ে
ছোটবেলায় স্কুল ঘেরা দেয়াল টপকিয়ে,
তার সন্মুখে ছিল বিশাল বিস্তৃত খেলার মাঠ
বৈকালে ফুটবল নিয়ে মাঠে, চুকিয়ে পাঠ।
এমন কোন দিন নাই, চলে সারাটি বৎসর
ফুটবল, ভলিবল, হা ডু ডু-খেলার আসর।
বৈশাখে জমত আরো তখন কার দিনে
‘আলা মিয়া’র বলি খেলা কে না জানে?
পুকুর ঘাটের লিচু গাছ আর কৃষ্ণচুঁড়া
শুনেছি বৃক্ষগুলো আমার দাদাজীর গড়া।
কালের সাক্ষী শতাব্দীর ঐতিহ্য প্রাচীন
স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা নামজাদা ব্যারিষ্টার সেন,
চুরাশি থেকে ঊননব্বই এই কয়েক বৎসরে
কিসের যেন শূন্যতা জাগে, এই বক্ষ পিঞ্জরে?
আমাদের স্যারদের সেই নিখূঁত আন্তরিকতা
এখনো ভীষণ মনে পড়ে তাঁদেরই কথা।
সেই কৃষ্ণচুঁড়া রঞ্জিত হয় বৈশাখ এলে
প্রেমে পূর্ণতা যেন, কারো ছোঁয়া পেলে?
অপরূপ শোভায় সেজেছে ধোরলা গ্রাম
সে যে মহান মোদের বিধাতারই দান ।
শৈশবে স্কুলের পাঠ নিতে যখন তোমার
কখনো বা বাজার দিয়ে হেঁটে যাওয়ার,
এখনো সেই শিহরণ, স্মৃতিতে উদ্ভাসিত
কল-কাকলিতে ভরা সুমধুর গুঞ্জরিত।
আমাদের প্রাণের পাঠশালা যে তুমি
স্কুলে না গেলে দিত মা, কত যে বকুনি
বন্ধুদের সাথে কত কোলাহল হৈ চৈ
সবই ঠিক আছে শুধু, কী যেন নেই?
বাগান জুড়ে নৃত্যের পশরা নীল প্রজাপতি
তুমি বিদ্যালয় না মহীরুহ, আলোর বাতি।
পি সি সেন সারোয়াতলী উচ্চ বিদ্যালয়,
কত গুনীজন, আলোকিত তোমার আলোয়।
আমাদের স্কুল তুমি মানুষ গড়ার কারিগর
শিখিয়েছো মানবতা, দীন-দুঃখকে ঘুচাবার,
আজও শেষ হয়নি দারিদ্র জালিমের জুলুম
কি করে তুমি নিতে পারো বিশ্রাম আর ঘুম?
এমন শিক্ষা দিয়েছো তুমি, ভয় পাইনা যমকেও
চোখ রাঙানির ধার ধারিনা কারো ধমকেও।
জীবন যুদ্ধে অনেক সময় জয়ী হতে পারিনি,
মানুষের কাছ থেকে তবুও দূরে সরে যাইনি।
=====