গ্রামের মাঝে ছিলো এক চোর,
রাত হলেই করতো ভোর।
চুরি ছিলো তার বড় শখ,
দিনে ঘুম, রাতে দখ।
একদিন সে বেরোল চুরি,
ভাবলো করবে ধন-সম্পদ জুরি।
পেলো সে এক বাড়ির দরজা খোলা,
খুশি হয়ে ঢুকলো ভেতর, মনে বড় বালা।
খুঁজলো ঘরে, দেখলো চারি,
কোথাও নেই সোনা বা জারি।
হঠাৎ পেলো এক মস্ত হাঁড়ি,
মিষ্টি ভরা, মনের খুশিতে ভারি।
“আজকে হলো মনের বাসনা,
খেয়ে নিবো যতটা আসে!”
একটার পর একটা গিললো,
পেটটা তার ভারী হলো।
শেষমেশ ঘুমিয়ে পড়লো,
হাঁড়ির পাশে লুটিয়ে পড়লো।
সকালে যখন সবাই এলো,
চোর দেখে সবাই হাসি পেলো।
গ্রামের লোকেরা হাঁড়িসহ ধরে,
চোরকে নিলো মাঝখানে ধরে।
চোরটি তখন লজ্জায় পড়লো,
মিষ্টির লোভে সব হারালো।
তাই বলি, ওরে ভাই,
চুরি করিস না আর তাই।
মিষ্টির লোভে ঘুমাস না কখনো,
না হলে শেষে হবে হাসির পাত্র তো!