অড়হর গাছ ঝাড়া বাকী ছিল এখনও
খড়ির সাথে লেগেছিল আরো কয়েকটা চ্যাপটা দানার ফল
চৈত্রমাসের চিটমিটে রোদেও রাখালগুলো বড্ড ফাঁকি দিয়েছে
ঠিকমত বাড়ি দিতে পারেনি, ঝরাতে পারেনি সব ফল ।
অথচ ওদের হাতে দেয়া হয়েছিল শক্ত লাঠি, আর
মারার জন্য দেয়া হয়েছিল অবাধ স্বাধীনতা,
কিন্তু অড়হল গাছ যে নিজেই একটা লাঠি,
চৈত্রমাসের তীব্র রোদে শুকিয়ে তা হয়েছিল আরো শক্ত, পরিপক্ক ।
লাঠিকে লাঠি দিয়ে বাড়ালে শুধু হাতই ব্যথা হয়,
লাঠির কিছুই হয়না - এ কথা যখন জানল গৃহস্হ্য
তখন অতিবাহিত হয়েছে আরো কয়েকটা মাস,
ততদিনে শুকনো অড়হর গাছ চলে গেছে গাদাগাদির স্তুপে ।
কিন্তু যেহেতু তার মাথায় রয়ে গেছে এখনও কিছু চ্যাপটা দানার ফল
সেহেতু তাকে দ্বিতীয় এবং তৃতীয়বার ঝাড়াতে হবে ।
ক্যাঙ্গারু বসেছিল তার পবিত্র আদেশ নিয়ে
এবার সম্ভবত ডিজিটাল পদ্ধতিতে অড়হর ঝাড়া হবে ।
হয়ত জিঘাংসার তীব্র দহনে ছাই হবে এবার অড়হর গাছ
নয়ত নিষ্ঠুর কালের স্বাক্ষী হয়ে একদিন স্হান পাবে জাতীয় যাদুঘরে,
আর যদি তার শেষ বীজও বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্ত না হয়
তাহলে কোন এক প্রতিবাদী কৃষক আবার জন্ম দিবে অড়হর গাছ
হলুদ ফুলে আর মৌমাছির গানে ভরে উঠবে অড়হর বাগান,
একেকটা গাছ হবে একেকটা শক্ত লাঠি, হবে একেকটা প্রতিবাদ,
যে প্রতিবাদ ছিল শুধু কলমের, তখন হবে লাঠিরও ।