পাগল ছিলাম তোমার জন্য বলতে পারিনি মুখে,
দু'হাত আমার বাড়িয়েছিলাম, চেয়েছি স্বর্গ-সুখে।
তুমি ছিলে সাতরাজার ধনের চেয়েও অনেক দামী,
তোমার নামের জপমালাখানি জপতাম দিবাযামী।
সুধাকর জ্যোতি লুটাতো তোমার রূপের অন্তরালে,
আমার সত্ত্বা লুটিয়ে দিলাম তুচ্ছ জীবনকালে।
তোমার সঙ্গ পেলেই সাঁতার কাটতাম সুখ-ছলে,
সিক্ত হতো যে রিক্ত হৃদয় মুক্ত প্রেমের জলে।
কিন্তু হঠাৎ, কেনো বদলিয়ে গিয়েছো ভীষণভাবে,
এখনও যে তা হয়নি গো জানা ঘটেছে কোন প্রভাবে?
বেহিসেবে ভালোবেসে গেছি আমি, কিছুই রাখেনি বাকি,
তুমিও কি ছিলে জলে ধোয়া তুলশির পাতা ছিলে নাকি?
কর্মের শেষে বাড়িতে না এসে দেখোনি চন্দ্র-তারা?
না হয় ছিলাম কাব্য-পাগল, একটু বাঁধনহারা!
রিক্ত হয়েই বিলিয়ে দিলাম সত্য প্রেমের সব,
মুঠো ভরে নিও; অতঃপর, করো জীবনের উৎসব।
তোমার অমৃত পেমরাশি আজো জেগে উঠে উজ্জ্বল।
ভাবতে গেলেই অশ্রু-বন্যা ছুটে চলে অবিরল।
==================
'একজন পুরুষই পারে,
আগামীকালের একটি সম্ভাব্য ধর্ষণ
বন্ধ করতে'।
==================