একটি কবিতা দিন দুই আগে এই আলোচনা সভায় চোখে পড়েছিল  যেটার নীচে নাম ছিল জয়ন্ত কুমার পাল । খুব পরিচিত লেখাটি । ফেসবুকেই পড়েছিলাম সম্ভবত । এখানে দেখে অবাক হলাম । কবির নাম মনে ছিল না , ভাবলাম তাহলে ইনি হবেন। গুগলে সার্চ মারতে  যেটি পেলাম তা হল এইরকম...।

ღ মা ღ
মা...
**প্রথম মাস**
হ্যালো আম্মু.....!! কেমন
আছো তুমি? জানো আমিএখন মাত্র
৩-৪ইঞ্চি লম্বা!! কিন্তু হাত-পা সবই
আছে তোমার কথা শুনতে পাই,
ভালো লাগে শুনতে

**দ্বিতীয় মাস**
আম্মু,আমি হাতের বুড়ো আঙ্গুল
চুষা শিখেছি,
তুমি আমাকে দেখলে এখন
বেবি বলবে! বাইরে আসার সময়
এখনো হয়নি আমার, এখানেই উষ্ণ
অনুভব করি খুব

**তৃতীয় মাস** আম্মু
তুমি কি জানো আমি যে একটা মেয়ে?
পরী পরী লাগবে আমাকে,
আমাকে দেখলে তুমি অনেক খুশি হবে,
তুমি মাঝে মাঝে কাঁদো কেনো আম্মু?
তুমি কাঁদলে আমারও কান্না পায়...

**চতুর্থ মাস** আমার মাথায় ছোট্ট
ছোট্ট চুল গজিয়েছে আম্মু আমি হাত-
পা ভালো ভাবে নাড়াতে পারি,
মাথা নাড়াতে পারি, অনেক কিছুই
করতে পারি

**পঞ্চম মাস** আম্মু
তুমি ডক্টরের
কাছে কেনো গিয়েছিলে?
কি বলেছে ডক্টর? আমি তার
কথা শুনতে পারিনি, তোমার
কথা ছাড়া আমি কারো কথা শুনতে পারিনা

**ষষ্ঠ
মাস** আম্মু আমি অনেক
ব্যথা পাচ্ছি আম্মু, ডক্টর সুঁচের
মতো কি যেনো আমার
শরীরে ঢুকাচ্ছে, ওদের
থামতে বলো আম্মু
আমি তোমাকে ছেড়ে কথাও
যাবোনা আম্মু...

**সপ্তম মাস** আম্মু
কেমন আছো? আমি এখন স্বর্গে আছি,
একটা এন্জেল আমাকে নিয়ে এসেছে,
এন্জেল বলেছে তোমাকে এবরশন
করতে হয়েছে,
তুমি আমাকে কেনো চাওনি আম্মু?

_*_প্রতিটি Abortion মানে_*_
••একটি হৃদস্পন্দন থেমে যাওয়া...
••একটি হাসি থেমে যাওয়া...
••দুটি হাত,যা কখনো কাউকে স্পর্শ
করতে পারবেনা...
••দুটি চোখ,যা পৃথিবীর
আলো দেখবেনা...

N:B: Stop Abortion,
save Children,save Humanity........

অবাক হলাম , জয়ন্ত বাবুর লেখাটির উত্তর জানতে চেয়েছিলাম প্রকৃত স্রস্টা কে ? কিন্তু আরও অবাক হলাম আজ দেখলাম লেখাটি নেই । ফেসবুকে এই ধরণের কাজ প্রায় হয় কিন্তু এই কবিতার আসরেও যদি এমনটি হতে থাকে  তবে সেটি বেশ ভাবনার ।

গুগলে জয়ন্তবাবুর লেখাটিও রয়েছে যেটি তিনি এই আসরে দিয়েছিলেন ...

জয়ন্ত কুমার পাল-এর লেখা 'মা আমি কী এতই খারাপ' - Bangla Kobita
www.bangla-kobita.com/.../post20150407125144/

কিন্তু সেখানে ক্লিক করলে কিছুই দেখা যাচ্ছে না। এডমিন কি এই ব্যাপারে কিছু আলোকপাত করতে পারেন ? যদি পারেন তবে মনের ভার খানিকটা লাঘব হয়।