গত ৭/৪/১৯ তারিখে কলকাতায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো দুই বাংলার মিলন উৎসব সে খবর এতদিনে সবাই জেনে গেছে। আমিও সামিল হয়েছিলাম সেখানে তবে শারীরিক অসুস্থতার জন্য শুরু থেকে দেখতে পাই নি সে আফসোস রয়ে গেছে। খুব কষ্ট কররই গেছিলাম শুধুমাত্র বাংলা কবিতা ডট কমের অনুষ্ঠান মানে আমাদের সকলের ভালবাসার বাংলা কবিতার আসরের সকল সদস্যের অনুষ্ঠান ছিল বলেই।
প্রথম থেকে দেখি নি বলে বলতে পারছি না শুরুর থেকে কেমন হয়েছিল তবে ভিডিওতে 'আমার সোনার বাংলা' যেমন মুগ্ধ করেছে ঠিক তেমনি সুন্দর লেগেছে' 'ধন ধান্য পুষ্প ভরা' সংগীত দুটি। আরো মুগ্ধ করেছে এবারের মেমেন্টো টি। সত্যিই খুব সুন্দর। জানি না কারা পছন্দ করেছেন তবে পছন্দটি নিঃসন্দেহে ভালো।
এত বড় এবং এত দীর্ঘ সময় ধরে চলা একটি অনুষ্ঠান চালিয়ে নিয়ে যেতে গেলে মাঝে মাঝে একটু তাল কাটে তবে সেটা এত বড় কিছু নয়। তবে আমাদের নিজেদেরও একটু বুঝতে হবে যে একটি অনুষ্ঠানে যখন এসেছি তখন কিছুক্ষনের জন্য ফেসবুক বা হোয়াটস এপ টা বন্ধ রাখলে খুব অসুবিধা কিছু হবে না। আমি প্রায় অনেক কেই লক্ষ্য করেছি মোবাইল নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন, হাততালির শব্দে মুখ তুলে তিনিও হাততালি দিয়ে দিলেন। এটা নিয়ে ভবিষ্যতে একটু ভাবলে মনে হয় শিল্পীর প্রতি প্রকৃত সম্মান সেখানো যাবে।
আর একটি বিষয় এবারের অনুষ্ঠানে ভীষন রকম নজরে এলো যেটা গতবারের অনুষ্ঠানে এতটা প্রকট ছিল না সেটা হল আমন্ত্রিত অতিথিদের সংখ্যা। বেশ অনেক অতিথি এসেছিলেন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে। কেউ গান করেছেন, কেউ আবৃত্তি আবার কেউ বা রম্য রচনা পাঠ করেছেন। প্রত্যেক অতিথিদের জন্য ব্যাজ, উত্তরীয়, মেমেন্টো প্রদান করা এবং মধ্যহ্ন ভোজনের ব্যবস্থা ছিল। এটাই বাংলা কবিতা ডট কমের বিশেষত্ব সকলকে আপন করে নেওয়া।
তবে এই আমন্ত্রিত অতিথিদের আর একটু সম্মান দেখালে মনে হয় ভালো হত। এখানে দেখলাম মঞ্চে ৪ জন হয়ত আসরের আর একজন আমন্ত্রিত রয়েছেন, সেটা না করে বরং প্রথম দিকের অনুষ্ঠান যেমন সভাপতি ভাষণ, বরণ, বাংলাদেশের বন্ধুদের বক্তব্য ইত্যাদি ইত্যাদির পরে যদি পরপর তাদের অংশ গ্রহণ করতে বলা হত তবে বোঝা যেতো কতজন আমন্ত্রিত ছিলেন এবং তার পরবর্তী সময় ধরে আসরের কবিদের অনুষ্ঠান চলতো। তাতে এটাও বোঝা যেতো কতজন কবি সুযোগ পেলেন (যদিওবা লিস্ট ছিল নামের)
আর একটা অনুরোধ সদস্যদের কাছে, এরপর যদি কোন সদস্য মনে করেন তিনি শ্রুতি নাটক, যুগলে সংগীত, যুগলে আবৃত্তি করবেন তবে সেটা এই আসরের সদস্যদের নিয়েই করুন না, অনুষ্ঠানের ঘোষণা তো অনেকদিন আগে থেকেই করা হয়ে যায় তাই মহড়া দিতে তো অসুবিধে হওয়ার কথা নয়। বাইরে থেকে কাউকে না এনে যদি নিজেরাই করি তাতে সবাই সুযোগ পাবে। খুব কি ভুল বলে ফেললাম বন্ধুরা?
আর যে সব সদস্যগণ আসবো বলেও আসে নি তারা হয়ত বুঝতেও পারছেন না যে আপনাদের জন্য কতটা অপচয় হয় কারণ সব কিছুর বন্দোবস্তে আপনাদের নামটাও যোগ করা হয়েছিল তাই এই অপচয় টা না হলে আমাদের ফান্ড আর একটু বাঁচতো আগামী দিনের জন্য।
বাংলাদেশ থেকে যারা এসেছিলেন তাদের জন্য অনেক ভালবাসা ও শুভেচ্ছা। আশা রাখি পরের বার আরো বেশি সংখ্যক বন্ধুরা আসবেন।
পরিশেষে বলি যারা এই অনুষ্ঠানের উদ্যোগে ছিলেন, সঞ্চালনায় ছিলেন সকলেই খুব ভালো করেছেন তবে ভালোর তো শেষ নেই। পরের বছর আরো ভালো হবে এই আশা রাখি।
যদি মনে হয় ভুল কিছু লিখেছি তবে নিজগুণে মাফ করে দেবেন।
সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।