রাধাচূড়া বিছানো পথ ধরে ধরে হেঁটে যেতে যখন ভোরের বেলা
তখন দু হাত বাড়িয়ে সামনে এসে দাঁড়াতো বাসন্তীকা , পরনে হলুদ শাড়ী
সারা শরীর জুড়ে বকুলের ঘ্রাণ , বাতাসে উড়ছে তার খোলা চুল
সেই বাসন্তীকাই আবার কখনও সূর্যমুখী ,
যাকে ভোরের সূর্য ভেবে কতবার বন্দনা করেছো
তোমার বাগানের মরসুমি ফুলগুলো যখন ঝলমলিয়ে উঠত , ঠিক তখনই
তোমার সামনে ভেসে উঠত বহু দুরের সেই প্রেয়সীর উচ্ছল হাসি মুখ
শীতের দুপুরে নরম রোদের উত্তাপ গায়ে মেখে অনুভব করতে তার
ভালবাসার উষ্ণ সান্নিধ্য , যে তোমায় যৌবন ফিরিয়ে দিয়েছিল
সাঁঝবেলায় তার সুরেলা কণ্ঠস্বর জানিয়ে যেতো আঁধার নামলো ,
চাঁদের আলোয় গোটা শহর যখন নেশাচ্ছন্ন তখন ভোরের সূর্যমুখী রাতের রজনীগন্ধা হয়ে তোমার বুকে লুটিয়ে পড়তো
তবে আজ কেন তাকে ভুলে গেলে !
যদি আঙুল দিয়ে ছুঁয়ে দিতে একটিবার তার দু চোখের পাতা
অনন্ত ঘুম ভেঙে জেগে উঠত এই বাসন্তীকা
যদি ঠোঁটের কোণে লেগে থাকা এক ফোঁটা ভালবাসা
যতন ভরে ছড়িয়ে দিতে হয়তো লজ্জায় শিহরিত হত বন্দিনী
অনেক কালের বন্দী দশা থেকে মুক্ত হয়ে
ডানা মেলে ওড়ার জন্য একটা খোলা আকাশ চাইতো তোমার কাছে
এক মুঠো নিঃশ্বাস নিয়ে বেঁচে থাকতো তোমার সাথে......
*** এই কবিতাটির সাথে "তুমি আসবে তাই" জুড়ে নিয়ে আবৃত্তি করেছি।