আবৃত্তি ও কবিতা পাঠ দুটো সম্পূর্ণ আলাদা। অনেক জনকেই দেখা যায় কবিতা দেখে পড়ছেন কিন্তু মুখে বলছেন যে আবৃত্তি করছেন। এটা মনে হয় সঠিক নয়।
আমি বাচিক শিল্পী নই কিন্তু তবুও বলি আবৃত্তি করতে গেলে কবিতাকে কন্ঠস্থ করতে হবে, স্মৃতি থেকে বলতে হবে এবং মুখস্থ বিদ্যায় পারদর্শী হতে হবে তা না হলে আবৃত্তি চলাকালীন স্মৃতি যদি বিশ্বাসঘতকতা করে তবে আনন্দটাই মাটি হয়ে যাবে। তাই এই বিষয় টাকে প্রাধ্যন্য দিতে হবে খুব যত্ন সহকারে।
কবিতা পাঠ করতে গেলে শুধু মাত্র কবিতাটি দেখে দেখে পাঠ করলেই হবে কিন্তু আবৃত্তি বা কবিতা পাঠ যাই হোক না কেন আগে তার ভাব বুঝতে হবে, আত্মস্থ করতে হবে। আবৃত্তিও যদি মানে না বুঝে ভাব না বুঝে শুধুমাত্র বলে যাওয়া হয় সেটা কখনই শ্রুতিমধুর হয় না ঠিক তেমনটি পাঠের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
এই দুটোই করতে গেলে কন্ঠস্বর, উচ্চারণ এবং ভাব খুব জরুরি। সকলের কন্ঠস্বর তো শ্রুতিমধুর হয় না, তাই নিজেকে ঘষা মাজা করে তার উপযুক্ত করে তুলতে হবে। তাই সংখ্যা দিয়ে আবৃত্তিকে বিচার না করে কিভাবে শ্রোতার কাছে আরো গ্রহণযোগ্য করে তোলা যায় সেটা অনুশীলন করতে হবে।
আবৃত্তি বা পাঠ দুটোই শ্রোতার কান কে যেন মুগ্ধ করে, এটা মাথায় রাখতে হবে। অতিরিক্ত চিৎকার বা হাত পা নাড়ানো কিংবা অতি নাটকীয়তা কোন কিছুই শ্রোতার মন কে আবিষ্ট করতে পারে না। তাই আবৃত্তি অনেক বেশি শুনতে হবে, বুঝতে হবে তবেই এটা সম্ভব।
আবেগ কে যথাযোগ্য ভাবে কন্ঠের সাথে মেশাতে হবে। যেমন আনন্দে এক রকম, দুঃখে এক রকম, প্রেমে এক রকম ভাবে মেশাতে হবে তা না হলে পরিবেশনটাই মাটি।
যে ভাষায় আবৃত্তি বা পাঠ হবে সেটা ভালো করে না জেনে উচিৎ হবে না, কারন উচ্চারণ এখানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেমন উর্দু না জেনে যদি কেউ আবৃত্তি বা পাঠ করে সেটা দুঃসাহস দেখানো হবে। তাই ভাষা টা সঠিক ভাবে জানা দরকার।
### কেউ ব্যক্তিগত ভাবে নেবেন না , অনুরোধ রইল। যা শিখেছি তাই জানালাম যদি কারো উপকারে লাগে ###