স্পর্শকাতর লজ্জাবতী লতায় হঠাৎ রেখেছি হাত
শিহরণে জড়োসড়ো লজ্জারাঙা শরীরের বর্ধিত সৌন্দর্য
স্পর্শেই ভেতর—নিগড়ানো নির্যাসে বাইরের অস্তিত্ব উঠলো কেঁপে।

এ লতা আমার দুরন্ত—কৈশোরের খুব কাছের শুভাকাঙ্খি
ছিলো আহত অতীতের সমব্যথী, ছিলো কৃষ্ণচূড়ার রক্তিম—স্বপ্ন
এ লতা তার পাতার গায়ে আমাকেই অনায়াসে অঁাকতে দিতো
এক জীবনের জলছবি আর ঘোলাজলের অনিন্দ্য কারুকাজ
কতো যে মধুর ছিলো অপার্থিব সুখের সেই সব অঁাকিবুকি!

দীর্ঘবিনা দর্শনে লতা আর আমার মাঝে দেড় যুগের বৈরীতা
মাঝখানে ত্রিকোণী নদীর ঘোলাজল গড়িয়ে গেছে বহুদূর;
বদলে গেছে তার অবয়ব, কোমল সৌন্দর্যে মলিনতার ছাপ
বৈরী বাতাসে ফুরিয়ে গেছে একচল্লিশটি ফেরারি ফাগুন
এতোদিনে আমিও বুড়িয়ে গেছি পুরনো কোনো অশ্বথের মতো
স্পর্শকাতর লতার উষ্ণ স্পর্শ পেতে আজও নৈশব্দে কাঁদে কবিমন
নিবিড় স্পর্শে কখনও কী মৃতানুভুতি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে?