অনুতাপে একলা জেগে নীরব নিঝুম রাতে
কখনও তো চাইনি ক্ষমা করুণ মোনাজাতে
পথের মাঝে লোলুপ কাঁটা পদতলে ফুটে
একজনমের মিথ্যে মোহ হঠাৎ গেছে টুটে।
হিরক ভেবে কাঁচের কঁণা আঁকড়ে ছিলাম আমি
পাপের আগুন পূণ্য পোড়ায় জানে অন্তযার্মী
ভুলে ভরা ভুবন আমার উদাস—উপহাসে
কী হারানোর বেদনায় আজ অশ্রম্নবানে ভাসে?
প্রাণহীন পাথরের মতো মুখে নাই তো ভাষা
অবেলা আজ কে মিটাবে ধূসর মরুর তৃষা
দিকভ্রান্ত এক পথিক আমি এই পৃথিবীর পরে
সত্যের সন্ধান পেতে আমার অন্তর কেঁদে মরে।
কেমন করে কোন পথে যাই ভাবছি একা শুধু
দৃষ্টির সীমায় হাতছানি দেয় তপ্ত—মরুর ধূ ধূ
কোথায়ও নাই অধমের ঠাঁই অসীম আকাশতলে
জল—তরঙ্গে ভাসবো কী হায় ব্যথার নোনাজলে?
জীবন নদীর তীরে ডাকে শেষের খেয়াখানি
আমার শুধু চাওয়া খোদা তোমার মেহেরবাণী
নবী আমার অন্তিম বিশ্বাস শেষ নিঃশ্বাসের মত
মসজিদেরই জায়নামাজে শির করে দাও নত।
দিল— কাবাতে সেজদায় নত আকুল অন্ধকারে
ভেতরমুখি আলোর পরশ পাই না বন্ধদ্বারে
মরু তৃষায় কাতর তবু বিদায় বেলায় তাড়া
খোদার দোস্ত নূর—নবীজী দাও গো আমায় সাড়া।