অনেক যতন করে সাজিয়ে ছিলাম শখের সংসার
নিঝুম পল্লির একটি আশ্রিত ভবনের ছোট্ট কক্ষে
সাঁঝের প্রদীপ জ্বালিয়ে সপ্নের আলপনা আঁকতাম
অপেক্ষার আয়নায় ভেসে উঠতো তন্বী-তরুনীমুখ।
সময়ের সিঁড়ি বেয়ে যখন নামতো কাঙ্খিত অন্ধকার
অন্তহীন আশার আলোয় ভরে উঠতো এই দুটি চোখ
নির্ঘুম রাতের কাছে জেনেছি চুলের গন্ধকতটা সুমধুর
জেনেছি কতটা ক্লান্তপায়ে নূপুরের নিক্কনে আসে ভোর।
একটি স্বর্ণালি দিনের প্রত্যাশা বুকে ধরে হেঁটেছি বহুদূর
দীর্ঘ পথ-পরিক্রমায় মানব সৃষ্ট হতাশার গাঢ় অন্ধকারে
ঝড়ো-হাওয়া রাতে হারিয়ে ফেলেছি পাঁজরের বাম হাড়
সেই অব্যক্ত ব্যথায়  বুড়িয়ে গেছি পুরনো বটের মতন ।
নীরব দহনে ব্যথাভরা অশ্রু-প্লাবনে এতদিনে মুছে গেছে
ভালোবাসার রং- তুলিতে আঁকা এক মোনালিসার ছবি  
রিক্ত-বুকের গভীরে রয়ে গেছে সেই পুরনো দিনের ক্ষত
ঈশ্বর তুমি কি জানো মেহেদীর চেয়ে রক্তের রং কত লাল।
বৈরী বাতাসে লন্ডভন্ড জীবনটাকে একটু গুছিয়ে নেওয়া
হোমারের অন্ধচোখে লেপ্টে থাকা দূরাশার স্বপ্ন শুধু....
অবিশ্বাসী অন্ধকার বুকে ঠেলে ঘরে ফেরা হলো না আর
ঘরণী শূনঘর  একাকী জীবনের জন্য  এক নন্দিত নরক।