নীলসমুদ্র সৈকতে নিভৃতে নীরবে চন্দ্রস্নানে মগ্ন রূপসীরাত
নির্ঘুম রাতের সর্বাঙ্গে জেগে থাকে শুভ্রজলের অতৃপ্ত তৃষা
তৃষ্ণার জলে ভাসিয়ে ডুবাতে কিংবা ডুবিয়ে ভাসতে চেয়েছিল
জলের উষ্ণ আহ্বানে অনায়াসে জল হতে পারিনি বলে
নিশিগন্ধাদের নিষিদ্ধ অভিধানের ভাষায় আমি কাপুরুষ।
বিবেক বিসর্জনের প্রতিযোগিতায় মেনে নিয়েছি পরাজয়
যদি অন্ধকারের অতলান্তিক গভীরে ডুবে যেতে যেতে
আমিও বেমালুম ভুলে যেতে পারতাম মনুষ্যত্বের শুদ্ধপাঠ
পরিতৃপ্তির ডেকুরেও উঠে আসত রুপালি ইলিশের স্বাদ
স্বপ্নের লালজল সরোবরে ফুটে থাকত লোলুপ নীলপদ্ম।
যারা আলোর আঙিনায় দাঁড়িয়ে অন্ধকারকে ভয় পায়
আলোর অজান্তে তারাই অন্ধকারটুকু বুকে আঁকড়ে ধরে
আলো—আঁধারের লুকোচুরি খেলায় মাঝখানে বিস্তর ব্যবধান
আলোকবর্ষ পেরিয়ে কেউ কাছে আসে অথচ রয়ে যায় দূরে
চুক্তিভিত্তিক সাজানো সংসারে চলে ভ্রƒণহত্যার প্রতিযোগিতা।
দ্বিচারণী দ্বিধাদ্বন্দ্বে খুব সহজেই শাশ্বতসত্য জলাঞ্জলি দিয়ে
নীলাম্বরীর ভাঁজে লুকিয়ে রাখা ছোপ ছোপ রক্তের দাগগুলো
যারা হাসি মুখে ধুয়ে দিতে পারে তুলসী পাতার জলে
তাদের মাটির স্বর্গেই ঈশ্বর নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে ফেরে
হায় ঈশ্বর! কেন বিধ্বস্ত করো মানুষের মনমন্দির ?