ক্ষণিকের জলসা ঘরে কাঁদে নিঃসঙ্গ নর্তকীর নূপুর
ফর্সা—বাহুর রোদ্দুরে পুড়ে যায় নিষিদ্ধ স্বপ্নের শরীর
মাটির গিটারে ক্রমাগত জমে দুঃখবাহী স্মৃতির ধুলি
ছিন্নতারে তিক্ত সুর তুলে বিষাদের গান গায় রিক্তরাত
জীবন খাতায় দীর্ঘদিনের ভুলে ভরা পান্ডুলিপি পাঠে
অবিশ্বস্ত পৃথিবী শুধু ব্যাঙাচির সুরে করে উপহাস।
কান্নার কোলাহলে জেগে ওঠে শ্মশানের নিস্তব্ধতা
পৃথিবীর পান্থপথ যদি প্রস্থানের পথে হয় একাকার
দিবস রাত্রি শ্বাস—পতনের শব্দে ভাঙে ভেতর বাহির—
বাহিরের দৃশ্যমান অস্তিত্বের— আমিত্বের পঁচা গলা গন্ধে
আহতপ্রেম শ্বাসরুদ্ধকর কষ্টের গোঙানিতে বেঁচে থাকে
সানগ্লাসের ফাঁকে কে দেখে কার মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ।
আঁধারের মহোৎসবে অতিথিবৃন্দ আলোর অজান্তে—
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত শরাব সমুদ্রে ডুব—সাঁতারে মগ্ন হলে
প্রসব বেদনায় অস্থির হয়ে ওঠে সভ্যতার কষ্ট—কঙ্কাল
স্মৃতির সাঁকো পেরিয়ে পিঁপীলিকা পায়ে ফিরে আসে
সামাজিক মাধ্যম থেকে গোপনে মুছে ফেলা গল্পগুলো
দরদাম বোনে গেলে সন্ধ্যা মালতীরা হয়ে যায় রাতের রানী।