যুগ্মরাতে কামাতুর চুমোর পাহাড় চুঁয়ে চুঁয়ে
ত্রিবেণী নদীর তপ্ত মোহনায় শুভ্র ঝর্ণা ঝরে
স্বরচিত আঁধারের নীল সরোবরে নিভে যায়
জলের গভীরে জ্বলে উঠা আগুনের বহ্নিশিখা
পতঙ্গ জীবন দগ্ধ বিদগ্ধতাকেই ভালোবাসে।
প্রথম পুষ্পের মতো মিষ্টিগন্ধী বৃষ্টি নামে তবু—
অতৃপ্ত তৃষ্ণার কোন হাহাকার জাগে হৃদয়ের—
ভেতর বাহির ছঁুয়ে। বসন্ত রঙিন মধুক্ষণে
সুমধুর কুহুতানে কোকিলার কণ্ঠে ফোটে গান
সেও কী মাটির কাছে নেমে আসে তপ্ত বরিষনে।
যুগল আবেগী রাতে অভিমানী চাঁদ ডুবে যায়
অন্তরালে অন্ধকার অদৃশ্য ঈশ্বর পাঠ করে—
আলোর জীবনী—শূন্য থেকে শুরু হয় পাঠ্যক্রম
মেঘের ওলান থেকে ক্রমে বৃষ্টি ঝরে সারারাত
জলস্নাত নীলাম্বরি খুলে নীলপরি নাচে একা।
ক্লান্তিমাখা মিলনের ময়ূরবাসনা জেগে থাকে
বৃন্দাবণী কামতৃষ্ণা কৃষ্ণের করুণা নিয়ে বাঁচে
যাযাবর সময়ের শূন্যবুকে জেগে থাকে কান্না
তৃষিত মরুর মতো। অদৃশ্য আগুন ভালোবেসে
নাগনী নদীর তিক্ত ঠোটে ফণা তোলা জলতৃষ্ণা।