যেতে চাও যাও অকারণে অমন করে ভাবছো কেনো
অন্তিম বেলায়ও সবারই কিছু না কিছু পিছু টান থাকে
কিন্তু কোমলকন্ঠের পিছু ডাকার মানুষটি থাকে না সবার।
যেতে চাও যাও অকারণে অমন করে ভাবছো কেনো
রিক্ত—দরজাটা না হয় ওভাবেই খোলা থাক অনন্তকাল
মাটির গীটারে যদি ক্রমাগত বাজে বিষন্ন বিরহের সুর
নির্জনে ভেবে নিও বহুমাত্রিক জীবনে কখনও সখনও
অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাও খুব কাঙ্খিত হয়ে ওঠে।
যেতে চাও যাও অকারণে অমন করে ভাবছো কেনো
অবরুদ্ধ দীর্ঘশ্বাস বুকের ভেতরে যদি তিক্ত ঝড় তোলো
নিঃসঙ্গ নিলয়ে সে ঝড়ে যদি কিছু ঝরাপাতা উড়ে আসে
বলো, পথভোলা ফেরারি ফাগুনের তাতে কী এমন ক্ষতি।
যেতে চাও যাও চলে যাওয়ারও তো থাকে বিচিত্র ধরণ
যাবার বেলা যদি খিল আটা জানালার নীলাভ শার্সি
বৈরী বাতাসের তোড়ে অবলীলায় দুলে ওঠে বারংবার
ভেবে নিও নাভীমূল ছুঁয়ে উঠে আসা আমারই দীর্ঘশ্বাস।
নিঃসঙ্গ শয্যায় একাকি যদি ক্লান্তির ঘুমে বিভোর থাকি
জেগে উঠেই একান্ত নির্জনে আমি নীরবে ভেবে নিবো
হয়তো ঘুমের ঘ্রাণে মগ্ন ছিলাম বলে দরজায় কড়া নেড়ে
অব্যক্ত অভিমানে স্বপ্নের রাজপ্রাসাদে ফিরে গেছো তুমি।