পল্লীকবি জসীম উদ্দীন স্মরণে
প্রকৃতির সবুজ পাঠশালায় সুশোভিত মাঠ ছঁুয়ে
মৃত্তিকাময় স্বপনের ধূসর আঙিনায় ধ্যানমগ্ন কবি
শোকার্ত সোজন বাদিয়ার ঘাটে কাঁদে বাঁশের বাঁশরী
রঙিন সুতোয় বোনা নকসীঁ কাঁথার কোমল ভাঁজ ভেঙে
পাথর চোখের কোটোরে জমেছে শতাব্দীর শীতল ঘুম।
অন্তহীন ঘুমের ঘ্রাণে কবির বুকের বাগান জুড়ে
ক্রমাগত হামাগুড়ি দিয়ে নামে ভোরহীন রাতের অঁাধার
‘কবর’ কবিতার ছন্দে দূরত্বহীন দূর থেকে কাছে আসো
দীর্ঘদেহী কবির প্রতিচ্ছবি হয়ে ক্ষণিক নিশ্চুপ দাঁড়াও
খোলা জানালার পাশে। দীনেশ চন্দ্র সেন‘রা কবর কবিতা পাঠে
কেঁদে কাটায় বিনিদ্ররাত পাঁজরের মানচিত্রে বয়ে যায় অশ্রম্ননদী।
হিমেল হাওয়ায় ডানামেলে ওই দূর দিগন্তে উড়ে যায়
ক্লান্তডানার অতিথিপাখি, বালিহাঁস, বুনো শালিকের ঝাঁক
জন্মজন্মান্তরের পৌরাণিক অঁধারে পৃথিবির বৃত্তাকারপথ
পেরিয়ে,ফাগুনের শুভবার্তা নিয়ে কৃষ্ণচূড়ার বনে আসে
পাতা ঝরার দিন। দুরন্ত কৈশোরের উচ্ছলতায়
কবির অক্ষয় হাসি ফোটে শিমুল পলাশর রক্তিম ঠোঁটে।
অতঃপর স্নিগ্ধ সৌরভে পুষ্পিত হৃদয়ের গৌরবে...
কখনও ঝলমলে উদিয়মান সূর্যের স্বর্ণথালায়
কখনও আবার কালজয়ী কবিতার বর্ণমালায়
কখনও গাঢ় গোধূলির গোলাপ রঙে অদৃশ্য তুলির পরশে
সার্থক শব্দে ছন্দে নিঃশব্দে এঁকে যাও নিসর্গের ছবি।