আমার ভেতর থেকে কে যেনো আমাকে ডাকছে
একটু দাঁড়াও, বাইরে তোমার চিরকাল ব্যাকুল ব্যস্ততা!
আর কতো দূরে যাবে তুমি?
পা দুটো কাঁপছে কেবল দৃষ্টি তবুও দিগন্তের দিকে
কণ্ঠকিত পথে হেঁটেছো অনেক—
রক্তাক্ত কষ্টের কাছে শিখেছো হাঁটার ব্যাকরণ।
নুড়ি—পাথরের পাহাড় বুকে ঠেলে ঠেলে
আততায়ীর রুমালে মুছেছো ক্লান্তির ঘাম।
রিক্তহাত তুলে আজ কেনো তোমার এ ফরিয়াদ?
তুমিতো তুচ্ছ ভেবে ভূ—সম্পদ এসোছো ফেলে
পিতৃ—পুরুষের ভিটেবাড়ি ভুলে থাকার অসম্ভব উচ্চারণে
কন্ঠচিরে কতকাল সাধবে বিষন্ন সুরের রাগিনী?
বুকে হাত রেখে বলতে পারো—
আর্তপীড়িত মানুষের দুঃখ দহনে কাঁদেনি তোমার মন
জালি লাউয়ের ডগায় বেড়ে ওঠা অবিশ্বাস ভুলে
মুছে দিয়েছো ধূপের ধূঁয়ার মতো কষ্টকুয়াশার ঢল
নীলসমুদ্র সৈকতে ভেসে যাওয়া তলাফুটো তরীর—
শোকার্ত পালে নিভৃতে নিরবে নিজেকে মুড়িয়ে রেখে
অনাবিল আনন্দে গেয়েছো মানবতার জয়গান
লোলুপ চোখের দৃষ্টি দিয়ে দেখোনি স্বার্থপর পৃথিবী!
তবে কেনো আজ তরল বিষাদের দূর্ভেদ্য অন্ধকারে
কাঁধে কাঁধে ফেরি করে ফেরো তোমার মেধা মনন সৃষ্টিসম্ভার
কেন করুণ আর্তনাদে জাগিয়ে তোলো হৃদয়ের সুপ্ত—দীর্ঘশ্বার্স।