ক্রমেই অন্যরকম অস্তিত্ব সংকট তীব্রতর হচ্ছে
আজও অব্যক্ত কষ্টের কার্নিশ ছুঁয়ে নামছে আঁধার
পাথরের মতন তলিয়ে যাচ্ছি আঁধারের গহীনে
অথচ,এই আমি এক আলোকিত পৃথিবীর সন্ধানে-
কাটিয়ে দিয়েছি অর্ধশত বছরের স্বর্ণালি দিনগুলো।
সুদূর শৈশব থেকেই এ বুকে অনন্ত আলোর পিপাসা
আলোক উজ্জ্বল স্বপ্ন আমাকে ঘুমাতে দেয়নি কতো রাত
নির্ঘুম রাতে রিক্ত দুহাত তুলে জ্যোৎস্নাস্নাত চাঁদের কাছে
প্রার্থিত প্রার্থণায় চেয়েছি পুস্তকের হৃদয় স্পর্শী আলো।
আমার আলোকিত আঙিণায় কবে কখন কারা যেন
ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখেছে অন্তহীন আঁধারের নুড়ি পাথর
দুর্ভেদ্য আঁধার বুকে ঠেলে ঠেলে দিনান্তে আমি বড় ক্লান্ত
ওইতো সুকান্তের পৃথিবীতে কাঙ্খিত গন্তব্যের হাতছানি।
শক্ত হাতে ধরেছি রবি ঠাকুরের সোনার তরির বৈঠাখানি
কন্ঠচিরে সুর সেধেছি অপ্রতিরোধ্য নজরুলের অগ্নিবীণায়
শরৎ সমগ্র ছাড়া কী আছে আমার এক জীবনের সঞ্চয়
অনিশ্চিত আঁধার-সমুদ্রে ডুব-সাঁতার খেলে রিক্ত জীবন।
ঘর-ভাঙা সংসার ছেলেটি অনার্স থার্ড ইয়ারের পড়ে
কখন যে কেন সাড়া দিয়েছে ডক্টর ইউনুসের আহ্বানে-
এ নিয়ে রাত দিন কতো জনের কতো কথা শুনতে হয়
এ ভূখণ্ডের রহস্যময় রাজনীতি খেলা বোঝার সাধ্য কার?