সপ্ত সমুদ্রের জল সেঁচে মনি—মুক্তা খুঁজে অতৃপ্ত আত্মার—
কোথাও মেলেনি এক—বিন্দু শুদ্ধসস্তি। কোনো স্বরুপে মেলাতে
পারিনি স্বতন্ত্র সত্তা। সূর্যস্তের মেঘে আজ নৈঃশব্দ ক্রন্দন।
কোনো এক দিকভ্রান্ত হরিণ শাবক আমি নিজের অজান্তে
নিজে অভয় অরণ্য হারিয়ে—খুঁজছি বিষাদের বৃক্ষছায়া।
মরুধুধু সাহাবার আগুন—প্রান্তরে কিম্বা কোনো প্রাণহীন
পাহাড়ের পাদদেশে নুড়ি পাথরের মতো কেটেছে একাকী
গাত্রদাহে শান্তণার প্রলেপ মেখেছি জন্মান্ধের অনুরাগে।

স্বর্নিমিত শবাধারে পাপের প্রসাদে কেটে গেছে দীর্ঘদিন
যেখানে দু’চোখ ভরে দেখেছি মানব সভ্যতার শুরু এবং—
শেষ রূপান্তর। লোলুপ স্বপ্নরা খুবলে  খেয়েছে জীর্ণ—
পাঁজরের হৃদপিন্ড, ক্ষয়িষ্ণু জীবন, মননের মুক্তপাঠ।

শেষান্তের গানে আজ অন্তিম প্রার্থনা—প্রাণবন্ত প্রকৃতির—
অপরূপ সৌন্দর্যের মোহবন্ধনেই প্রকৃতিতে মুগ্ধ হই
নিসর্গের মনোলোভা দৃশ্য, অফুরন্ত সবুজের সমারোহ
নীল সমুদ্র সৈকত, বৈকালী আকাশে গোধূলীর রাঙামেঘ
আদিগন্ত সমুদ্রের শোঢ়শী তরঙ্গ, পাহাড়ী ঝর্ণার গান
অরণ্যের শ্যামালিমা, মুক্ত পাখিদের সুমধুর কলরব
বুনো বাসাতের স্পর্শে হেসে ওঠা জুঁই—জবা নিশিগন্ধা
অমৃতের অন্বেষণে নিমগ্ন প্রকৃতি আমাকে সজীব করে।