(সদ্য প্রয়াত কবি মোশাররফ হোসেন ভূঞা—কে)

আলোকিত প্রভাতের ভিত ভেঙে নৈঃশব্দে নেমেছে
আজ আগন্তুক সন্ধ্যা সূর্যাস্তের অন্তিম আঁধারে
শোকাচ্ছন্ন সময়ের হৃৎপিণ্ড ছিন্নভিন্ন করে—
বহুদূরে ক্রমাগত যাচ্ছে সরে আলোর দিশারী।

দিগন্ত বিস্তৃত শোক— সমুদ্রের শীতল বাতাস
অসময়ে ছঁুয়ে যায় বেদনার্ত বুকের পাঁজর
অনন্ত বিষাদবাহী দীর্ঘশ্বাসে ক্রমে নুয়ে পড়ে
অখণ্ড নীলাকাশ। চোখ চুয়ে ঝরে নোনাজল।

কোলাহল—মুখরিত পৃথিবীর এই সরোবরে
এতো দুর্ভেদ্য আঁধার কোনোদিন দেখিনি কখনো
আঁধারের মহোল্লাসে দিকভ্রান্ত দশদিক ম্লান
প্রাণহীন পাথরের মতো আমি নির্বাক নিশ্চুপ।

চোখনিঃসৃত নির্যাসে যেন একা বয়ে যায়
প্রভাতবিহীন কাল—রাত্রিমুখী এক সন্ধানদী
তবু তাঁর প্রস্থানের পথে আঁকা পদচিহ্নগুলো
ঘুমঘ্রাণে খুঁজে ফেরে অন্য এক জন্ম—জন্মান্তর।

গন্তব্যের ছায়ারা ছায়া—শ্বাপদের সঙ্গী হয়ে হাঁটে
সবুজ ঘাসের সাদা কষ্ট মাখা পথের শেষ প্রান্তে।