তুমি এখন অন্য কোনো আকাশের নীল ধ্রুবতারা
অন্য অরণ্যের গভীরে অভিসারে তোমার নিত্যানন্দ
আদিম আগুনে সমস্ত শরীর জ্বেলে পুড়ে
ক্রন্দন বিলাসে ফিনিক্স পাখির মতো জেগে ওঠো।
যাযাবর সময়ের স্রোতে ভেসে ভেসে অত:পর অবশেষে
কত যে অজানা ঘাটে অনায়াসে ভেড়ে তোমায় স্বপ্নতরী
হয়তো বা কোনো রঙিণ মাঝি মনের অজান্তে গেয়ে ওঠে
‘মন মাঝি তোর বৈঠা নে রে আমি আর বাইতে পারলাম না।’
একাকী যে জন সেও এখন খুব বেশি একা নয়
মুঠোফোন নিয়ে সেও তো দুজন সারারাত শোনে পাখির কুজন
পাহাড় সমান প্রাপ্তির ভীড়ে তবুও ওঠে অপ্রাপ্তির ঝড়
আলোর অজান্তে মানুষ আঁধারকেই বুকে আঁকড়ে ধরে।
শুভ্র গোখরের বিষ পানেও কেউ কেউ কিছুদিন বেঁচে থাকে
কিন্তু কৃত্রিম প্রেমের সুমধুর সুধায় মানুষের নিশ্চিত মরণ
বিষাদের বিষে নিভৃতে নীরবে মিশে যতটুকু বাঁচা যায়
আর হবো না অনুভবের বোকা গবেষক কিম্বা গিনিপিগ
মৃত্যুর গন্ধ শুঁকে এ জীবন জেনে গেছে জীবনের মানে।