দিকভ্রান্ত এ পথিক পথ খুজি পৃথিবীর পথে—
ক্লান্তিহীন কেবলই ছুটে চলি বাতাসের রথে।
একদিন এখানেই শেষ হলে সব কোলাহল
জীবনের চিত্রকল্প শেষে হবে প্রত্ন মাটি জল !
নগর নন্দিনী এই স্বপ্নরাঙা কোমল দু’হাতে
ঘনঘোর অন্ধকারে ডাকবে না নিশীথ রাতে ।
রাতের গহনে মৃত্যু, ভোরহীন রাত্রি হলে লীন
নবতর প্রত্যাশায় জাগবে না নিঃসঙ্গ সে দিন।
অনন্তকালের ঘুমে জেগে থাকা শূন্যের শরীরে
কেবলই চিত্রিত হবে বিষাদের বিষন্ন প্রাসাদ।
নৈঃশব্দের ভীত ভেঙে কে জাগাবে নির্মোহ রাখাল
প্রস্তরখন্ডের বুকে কেঁদে যাবে শোকার্ত স্বকাল।
শুনেছি মৃত্যুর গান নাকি অন্য জীবনের সুরে
আশাহত মৃত্যুকেই একদিন ঠেলে দিবে দূরে।
মনুষের কবি যদি হতে পারি হয়তো আবার—
ভস্ম থেকে জন্ম নেবে আমি আর আমার কবিতা।