আমার অবিশ্বস্ত আকাশে নীল-বেদনার মহোৎসব
এখানে গোধূলির টুকটুকে লালসিঁদুর সিঁথিতে মেখে
মোনালিসার মৃদুহাসিতে ফেটে পড়ে বিধবা বিকেল
নৈঃশব্দে কাঁদে লিওনার্দো ভিঞ্চির ক্ষয়িষ্ণু স্বপ্ন-সাধ।
এখানে কষ্টের কার্নিস ছুঁয়ে নীলাভ পাহাড়ের পাদদেশে-
অবিরাম ঝরে ব্যথার তরল। জীর্ণশীর্ণ ঘরের দেয়ালে
প্রাগৈতিহাসিক দু'টি আরশোলা সঙ্গম সুখে নৃত্য করে
বিনিদ্র রাত্রির রিক্ত করিডোরে নামে দুর্ভেদ্য অন্ধকার।
আমার ভাঙাঘরে ছুঁচোরা কী উলঙ্গ উচ্ছ্বাসে ঢুকে যায়
অনাবিল আনন্দে বারবার ছুঁয়ে যায় সুস্বাদু শাহীখাবার
এখনে অকারণে আমি লম্বালম্বি পড়ে থাকি নীরব নিশ্চুপ
মৃত্যুময় শ্মশানের নিস্তব্ধতা কুরে খায় একাকি জীবন ।
এখানে আমারই অব্যক্ত বেদনায় সুকান্তের গালে হাত
কষ্টে ক্রমগত কুঁকড়ে যায় নজরুলের তরঙ্গ তোলা চুল
রবি ঠাকুরের শুভ্রদাড়িতে জড়িয়ে যায় ময়লার ছোপ
পাথরের মূর্তির মতো নিষ্পলক নয়নে দেখি অবাক পৃথিবী।
আজ আবেলা আমার একাকিত্বের শবদেহখানি নিয়ে
তুমি কতো দূরে কোথায় যাবে বলো। জন্ম জঠোর থেকে
বিষন্ন বিষাদে অন্তরদগ্ধ ধূপের মতো অবিরত জ্বলে পুড়ে
খুবসহজেই মিশে গেছি অদৃশ্য আগুনের লেলিহান শিখায়।