মায়ায় ছেদ!
যার মায়াতে থাকতাম ডুবি
লোকাতাম ঘরের কোণে
তাকে আজ আর যায়না পাওয়া
কোন মোবাইল ফোনে।
সন্তান রাখিয়া আমার প্রতি
যার ছিল টান এত
তার নামটা আজ নেয়না মনে
ক'দিন হল গত।
গোসল সেরে যার আঁচলে
শোকাতাম সারা গাঁ
নিতে দিলে না ক্ষমা তোমার
ধরিয়া দুটি পা।
দেখবো দেখবো সময় হয় না
যখন তোমায় দেখি
কখনো বুজ আবার কখনো খোল
অসুস্থ দুটি আঁখি।
প্রশ্ন করলাম হাত খান ধরি
এখন কেমন লাগে
এখন অনেক লাগে ভাল
যা লাগেনি আগে।
এমন ক্ষনে অনেকেই আসল
ক্ষমা চাওয়ার আশে
চোখের কোণে দু'ফোটা জলে
দাড়িয়ে রইলাম পাশে।
কেহ বলল ক্ষমা করো বু
কেহ বলল চাচি
আমি ভাবছি তোমায় বিহীন
কেমনে থাকবো বাঁচি।
অবশেষে শরীর নিথর হলো
স্তব্ধ সব অংগ
চারপাশে পড়লো কান্নার রোল
হচ্ছে পৃথিবীর মায়া ভংগ।
হাত পা আর নড়ে না তোমার
চলে শুধু শ্বাস প্রশ্বাস
ডাক্তার আসল চলেও গেল
না দিয়ে কোন আশ্বাস।
বুঝতে আর বাকী রইলো না
আছোই বা আর ক'দিন
চুকিয়ে যাচ্ছ পৃথিবীতে তোমার
ছিলো যতোটা ঋণ।
হা করতে পারোনা তুমি
থুতনিতে রেখে হাত
মুখেতে দিয়েছি এক চামচ পানি
করিয়া এক পাশ কাত।
পানিটুকু গিলতেই কষ্ট হত
চোখের কোণে আসতো পানি
কত যে কষ্ট লেগেছে তোমার
তা বলতেও পারনি।
হঠাৎ একদিন পানিও বন্ধ
কোন এক শনিবারে
সৃষ্টিকর্তা ডেকে নিল তোমায়
এ জগত পাড়ি করে।
এমনি করে অনেকেই গিয়েছে
করে মায়ায় ছেদ
যেখানে চলেনা কারো সাথে কারো
এক রত্যিও জেদ।
সকলেই যাবে এভাবে চলে
কলিজা চিড়িয়া আহ্
রয়ে যাবে মালিক শুধুই তুমি
হে মহান আল্লাহ।