দুই পৃথিবী, দুইটি স্বপ্ন, দুটি রেখা ভেদে
একটি ক্ষমতার পাহাড় গড়ে, আরেকটি শান্তি খোঁজে।
মৃত্যু খেলায় সাহসী বীর, মৃত্যু দরজা নাড়ে—
উত্তাল পৃথ্বীর রঙিন চশমায়, মানবতা তখন হারে।

চোখে স্বপ্ন বাঁচার আকুতি, মার দেহ পড়ে পাশে,
ছোট্ট শিশুর রক্তচোখে আরেক শ্রেণী হাসে।
মায়াবী সেই চক্ষুদুটি দেখছে জগত-মায়া,
ক্ষত-বিক্ষত দেখ তার, জীবন আবছায়া।

মৃত্যুপুরীতে স্বপ্নেও মৃত্যু, স্বপ্নে রক্তের হোলি,
মার গর্ভের সন্তান কি জানে, কেন সে হলো বলি?
দোষ কি তবে জন্মে এ রেখায়, জন্মে ধরণীতে?
কত-শত ফুল অকালে ঝড়বে শান্তির খোঁজে।

মানুষ আজ মানুষ গঠনে, সত্তা আজ রিক্ত,
মনুষ্যত্ব যে নিছক আবেগ, মনপশু আজ মুক্ত।
অন্তহীন ধু ধু প্রান্তর, অসীম গোলকধাঁধা—
কে ভাঙবে মনের শিকল, নিজ স্বার্থেই যে বাঁধা।